বদলগাছীতে আড়াইকাটা জমির হলুদ ২৯ হাজার টাকায় বিক্রি! বদলে গেল কৃষকের ভাগ্যের চাকা
নওগাঁর বদলগাছীতে এবার হলুদ চাষে কৃষকের ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেছে। বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পাওয়ায় উপজেলার হলুদ চাষীদের মুখে এখন শুধুই হাসি।
হলুদ চাষের চিত্র
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বদলগাছীতে এবছর ৮০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ হয়েছে। চাষকৃত জাতগুলোর মধ্যে মহিষবাটি, হরিণপাঁজর, বারি হলুদ-১, বারি হলুদ-২ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি বিঘায় ৮০ থেকে ১০০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে।
হলুদ একটি মসলা জাতীয় ফসল এবং প্রতিটি রান্নায় এটি অপরিহার্য। অধিকাংশ কৃষক নিজেদের প্রয়োজনে ফসলি জমির পাশে ২-৩ কাটা জমিতে হলুদ চাষ করে। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে ২-৩ বিঘা জমিতে চাষ করেন। বাড়তি হলুদ বিক্রি করে এবার বেশ ভালো লাভ হয়েছে।
কৃষকদের সাফল্যের গল্প
হলুদবিহার গ্রামের কৃষক সবুজ জানান, আড়াইকাটা জমিতে চাষ করে তিনি ২০ মণ হলুদ পেয়েছেন। প্রতি মণ ১৪০০-১৫০০ টাকা দরে বিক্রি করে ২৯ হাজার টাকা আয় করেছেন। তিনি জানান, “এবারের হলুদের ফলন এবং দাম দেখে আমি অবাক হয়েছি!”
কয়া ভবানীপুরের কৃষক জহুরুল বলেন, “২ কাটা জমিতে চাষ করে আমি ১৬ মণ হলুদ পেয়েছি।”
শুক্রবার কোলার হাটের ব্যবসায়ী সহিদুল জানান, তিনি সাড়ে ৩ শত মণ হলুদ কিনেছেন। সর্বোচ্চ বাজার মূল্য ছিল ১৮০০ টাকা।
কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান জানান, “হলুদ একটি মসলা জাতীয় ফসল। এবার বাম্পার ফলন হয়েছে এবং ভালো দাম পেয়ে চাষীরা খুশি। হলুদ চাষে খরচ কম, পরিশ্রমও তুলনামূলক কম। এমনকি বাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতেও যদি সঠিকভাবে গবরসার প্রয়োগ করা যায়, তাহলে সেখানেও ভালো ফলন সম্ভব।”
উপসংহার
এবারের হলুদের বাম্পার ফলন এবং ভালো বাজার দর বদলগাছীর কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে সাহায্য করেছে। এর ফলে এলাকার কৃষি খাত আরও উজ্জ্বল সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।