প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০০:১৮

ঘোড়াঘাটে মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষে সাফল্য

আজহারুল ইসলাম সাথী, ঘোড়াঘাট, দিনাজপুর:
ঘোড়াঘাটে মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষে সাফল্য

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় মাঁচা পদ্ধতিতে হাইব্রিড জাতের করলা চাষ ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। এ উপজেলার প্রায় ২৭টি গ্রামের কৃষকরা করলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উপযোগী মাটি ও সাফল্য
উপজেলার মারুপাড়া, কৃঞ্চরামপুর, পার্বতীপুর, বিন্যাগাড়ী, সোনারপাড়া, কুলানন্দপুর, ডাঙ্গা, শলিকাদহ, দক্ষিণ দেবীপুর, বেগুনবাড়ী, শ্রীচন্দ্রপুর, চাঁদপাড়া, রঘুনাথপুর, সাতপাড়, লালমাটি, ভর্ণাপাড়া, শ্যামপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে শতাধিক কৃষক মাঁচা পদ্ধতিতে করলা চাষ করেছেন। এ অঞ্চলের মাটি করলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় করলার ভালো ফলন হয়েছে।

বাজার ও কৃষকের মতামত
লালমাটি শ্যামপুর এলাকার কৃষক মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছেন। বর্তমানে প্রতি মণ করলা ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ বছর আবহাওয়া এবং বাজার দর ভালো থাকলে তিনি প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার করলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একই গ্রামের কৃষক মোজাইদুল ইসলাম জানান, করলা চাষে গবর, রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। করলার পরবর্তী মৌসুমে এই জমিতে আলুসহ অন্যান্য ফসল চাষে অতিরিক্ত সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয় না।

কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ রফিকুজ্জামান জানান, গত বছর উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছিল। এ বছর করলা চাষের পরিমাণ বেড়ে ৮০ হেক্টর জমিতে উন্নীত হয়েছে। করলার পাশাপাশি খরিফ-১, খরিফ-২, এবং রবি মৌসুম মিলিয়ে মোট ১,১৭১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি চাষ হয়েছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ রেবেকা সুলতানা জানান, করলা চাষ শেষ হলে কৃষকরা এই জমিতে পটল, বেগুন, মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজি লাগাতে পারবেন। কৃষি বিভাগ কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহায়তা দিয়ে আসছে।

কৃষকদের কর্মব্যস্ততা
এখন করলার মাঁচা থেকে ফসল সংগ্রহ, বাজারজাত করা, এবং জমিতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা মনে করছেন, এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে তারা তাদের আয় বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন।

 

উপরে