প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:২৪
নাটোরে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে ২৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ
নাটোরে অবৈধ ৯ টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ২৮ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।
অনুমোদন নেই অথচ পৌর সদর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ১১ টি কাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। এসব ভাটার সবকটিই আবাসিক এলাকা ও কৃষি জমিতে গড়ে উঠা। সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে প্রায় দুই যুগ ধরে নাটোরের গুরুদাসপুরে অনুমোদন ছাড়াই এসব ইট ভাটার কার্যক্রম চলে আসছ।
লাইসেন্স ছাড়াও কাঠ পোড়ানো এবং শিশুদের কাজ করানোর অভিযোগও রয়েছে কোন কোন ইট ভাটার বিরুদ্ধে। এসব নানা অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রোববার ৯ টিইট কাটায় অভিযান চালিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা আক্তারের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় কোন ভাটাতেই লাইসেন্স ও পরিবেশের ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, গুরুদাসপুর পৌর শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা চাঁচকৈড় মধ্যপাড়া মৌজাতেই রয়েছে জমির উদ্দীন মন্ডলের মেসার্স এমজেডবি ব্রিকস, জাকির হোসনের মেসার্স এসএআর ব্রিকস, আমজাদ-মফিজের মেসার্স এএমবি, জাহিদ হোসেনের মেসার্স এমডিবি ব্রিকস, মোশাররফ হোসেন হাজার মেসার্স এমবিপি ব্রিকস, টগরের মেসার্স একেবি ব্রিকস, জহুরুল -বিপ্লবের মেসার্স এমএমবি ব্রিকস নামের ৭ টি অ-অনুমোদিত অবৈধ ইট ভাটা রয়েছে।
এছাড়া উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের শিকারপুর মৌজার ফসলি জমিতে আব্দুল কাদের হাজার মেসার্স এইচকেবি ব্রিকস, হাজী বাদশার মেসার্স এইচবিবি ব্রিকস, আব্দুল হাকিমের মেসার্স এইচআরবি ব্রিকস, আব্দুর রহিমের মেসার্স এআরবি ব্রিকস নামের অনুমোদনহীন চারটি ইটভাটা রয়েছে।
তবে উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের কান্দিপাড়া-চিতলাপাড়া মৌজার জাহিদ হোসেনের এমডিপি ব্রিকস এবং নাজিরপুর ইউনিয়নের একটি ভাটা ফসলি জমিতে গড়ে উঠলেও এ দুটি ভাটার অনুমোদন রয়েছে।
নাটোর পরিবেশ অফিসের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত কৃষি অফিস থেকে এক ফসলি জমির প্রত্যয়ণ পাওয়ার পরই তারা দুটি ইট ভাটাকে পরিবেশের ছাড়পত্র দিয়েছেন। বাকীরা অনুমোদন ছাড়াই ইট ভাটা গড়ে তুলেছেন।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে -গুরুদাসপুর পৌর সদরের ৫ টি, ও মশিন্দা ইউনিয়নের ৪ টি ইট ভাটার অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সময় সল্পতার কারনে পৌর সদরের জাহিদ হোসেনের মেসার্স এমডিবি ব্রিকস ও জহুরুলের মেসার্স এমএমবি ব্রিকস দুটিতে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন-প্রতিবছরই এসব অবৈধ ইট ভাটার ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বছরের পর বছর পরিবেশ অধিদপ্তর এবং স্থানীয় প্রশাসনের দায়সাড়া এসব অভিযানের পরও দেদারছে চলছে এসব ইট ভাটা।
এদিকে ইট ভাটার বিরূপ প্রভাব পড়েছে ফসলের মাঠে। আবার পর্যায়ক্রমে কৃষি জমিগুলো বিভিন্ন কৌশলে ইটভাটাগুলোর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তারা অবৈধ এসব ইট ভাটা গুলো গুড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানান।