দীর্ঘ ৩৬ বছর পর অ্যাম্বুলেন্সসেবা পেয়ে খুশি তাড়াশ উপজেলাবাসী
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সাধারণ মানুষ দীর্ঘ ৩৬ বছর অ্যাম্বুলেন্সসেবা বঞ্চিত ছিলেন। এতদিনের দুঃখ ঘুচে ফের অ্যাম্বুলেন্সের দেখা মিললো তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এতদিন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সে রোগীকে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতো স্বজনদের। এতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চেয়ে দ্বিগুণ টাকা ভাড়া গুণতে হতো। আবার অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়া গেলে মাইক্রোবাস অথবা ভ্যান ও ইজিবাইকে করেই রোগীদের নেওয়া হতো শহরে। তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুইটি অ্যাম্বুলেন্স পায় দুই বছর আগে। একটি একেবারে নতুন অবস্থায় ছিল। তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এরফান আহমেদ যোগদানের পর অ্যাম্বুলেন্সের বিশেষ চাহিদা অনুভব করেন ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। সরকারের নতুন বরাদ্দ না থাকায় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই বছর আগের পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বরাদ্দ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপজেলা হেলথ কেয়ার (ভিএইচএস)। রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) অ্যাম্বুলেন্সটি তাড়াশে আনা হয়।এদিকে নতুন অ্যাম্বুলেন্স পেয়ে এলাকাবাসী বেশ খুশি। জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৯৮৬ সালে সরকারিভাবে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। যার নম্বর সিরাজগঞ্জ-ব-৩। দুই বছর পর গাড়িটি নষ্ট হলে অর্থের অভাব ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় সেই থেকে গাড়িটি হাসপাতাল আঙ্গিনার এক পাশে জঙ্গলের মধ্যে ধুলোবালির আস্তরণে মরিচা ধরে সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পড়ে আছে। ইতোমধ্যে হারিয়ে গেছে বেশকিছু মূল্যবান যন্ত্রাংশ। নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি ২০১৬ সালে হস্তান্তরের পাঁচদিন পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিআরটিএ মেরামতের অনুমোদন দেয়নি অদ্যবদি।উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধানকুন্টি গ্রামের জালাল উদ্দীন বলেন, গত চার মাস আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পা আমার পা ভেঙ্গে যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় এরই মধ্যে দুইবার মাইক্রোবাস ও তিনবার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছি। ভাড়ায় মাইক্রোবাস নিয়ে যেতে অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।