স্বৈরাচার পালিয়েছে, এখন দেশ পুনর্গঠনের সময়: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে। এখন সময় এসেছে দেশ পুনর্গঠনের। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। নির্যাতনের জবাব হিংসায় নয়, বরং ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দিতে হবে।
স্বৈরাচারের পতন ও বিএনপির সংগ্রাম:
তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছরে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নানান ধরনের নির্যাতন হয়েছে। র্যাবের ক্রসফায়ারে নীলফামারীর নেতা গোলাম রব্বানীর মতো অনেক সহকর্মী খুন হয়েছেন। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবে তাদের মতো হয়ে হিংসা নয়, আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করব গণতান্ত্রিক উপায়ে।
নির্বাচন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার:
নীলফামারীর লক্ষ্মীচাপ এলাকায় একটি জনসভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বলেন, "টেক ব্যাক বাংলাদেশ"-এর মূল লক্ষ্য হলো জনগণের অধিকার জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। স্বৈরাচারের পতন ঘটলেও দেশ পুনর্গঠনে অনেক কাজ বাকি। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই।
সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি:
তিনি বলেন, বিএনপি একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সমৃদ্ধি ও স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করা এবং একটি উদার রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠাই তাদের মূল লক্ষ্য।
সভায় নিহত নেতা গোলাম রব্বানীর পরিবারকে একটি নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চাবি হস্তান্তর করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়াও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে রংপুর বিভাগের নিহত ১২ জন নেতাকর্মীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ ও বক্তব্য:
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা। গোলাম রব্বানীর বড় মেয়ে রওনক জাহান রিক্তা তার পিতার হত্যার বিচার দাবি করে বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান বলেন, "আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা, যেখানে কোনো ধরনের নির্যাতন বা স্বৈরাচার থাকবে না। ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এই লক্ষ্য অর্জিত হবে।"