প্রকাশিত : ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১৯:৪২
বগুড়ায় নানা আয়োজনে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উদযাপন
সঞ্জু রায়:
'সমৃদ্ধ হোক গ্রন্থাগার, এই আমাদের অঙ্গীকার' প্রতিপাদ্যতে বগুড়ায় নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫।
জেলা প্রশাসন ও জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের আয়োজনে দিবসটি উপলক্ষে বুধবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালী শেষে উডবার্ণ গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে দিবসটিতে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো: আরাফাত হোসেন।
পরে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের সহকারী লাইব্রেরিয়ান আমির হোসেনের সভাপতিত্বে গ্রন্থাগার অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডিসি আরাফাত হোসেন বলেন, পুস্তক সর্বদা মানবজীবনে আলোকবর্তিকা হয়ে ইতিবাচক পথ নির্দেশ করে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুরই পরিবর্তন হচ্ছে তবুও জীবনে এগিয়ে যেতে হলে বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। তবে পাঠাগার গড়ার পাশাপাশি সকলকে বই পড়ায় প্রথমে আগ্রহী করে তুলতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি সারাবিশ্বের জ্ঞানার্জনের জন্যে বই হচ্ছে একজন মানুষের সবচেয়ে সেরা বন্ধু। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন এ্যাপসে অযথা সময় নষ্ট না করে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের জন্য সকলকে বই পড়তে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ এবং পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লুৎফর রহমান। সভায় আলোচক ছিলেন সরকারি
শাহ সুলতান কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ এমদাদুল হক। এছাড়াও অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শহীদ-উল আজাদ এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার পরিষদ বগুড়ার প্রতিনিধি ও নেকটার বগুড়ার সাবেক উপ-পরিচালক মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে এ বছরের প্রতিপাদ্যে জাতীয় জীবনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও তাৎপর্য বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সকলকে মানবিকতা ও মননশীলতা চর্চার আহবান জানান।
আয়োজনে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি আবুল হাসানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর প্রধানগণ, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীসহ প্রায় সাড়ে ৩'শ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সভা পরবর্তী দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত চিত্রাংকন, বইপাঠ ও উপস্থিত বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৪৬ জন প্রতিযোগীর মাঝে পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।