প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ২০:৫৬
বগুড়ায় করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
সঞ্জু রায়:

'দখল-দূষণমুক্ত কর, পানি প্রবাহ নিশ্চিত কর' প্রতিপাদ্যতে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো করতোয়া নদী রক্ষা সম্মেলন। সোমবার বেলা তিনটার দিকে বগুড়ার বনানী এলাকায় এনজিও ফোরামের মিলনায়তনে এই সম্মেলন হয়।
বেলা, এএলআরডি ও পানি অধিকার ফোরাম আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্টের (এএলআরডি) নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মেজবাউল করিম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মুহা. আহসান হাবিব, পানি উন্নয়ন বোর্ড এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম ও নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক এবং বগুড়া পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ আল মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বেলার ফিল্ড এন্ড প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর এএমএম মামুন এবং সম্মেলনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন বাপা'র সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়ক তন্ময় কুমার সান্যাল। এছাড়াও সম্মেলনে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর এ্যাড. মোজাম্মেল হক, সমাজকর্মী খোরশেদ আলমসহ জেলে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ও ও নদী পাড়ের বেশ কয়েকজন মানুষ।
স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনে, করতোয়া নদীকে ঘিরে সাধারণ মানুষ নানা আক্ষেপ তুলে ধরেন। সকলের বক্তব্যে উঠে আসে কিভাবে দিনের পর দিন কিভাবে দখলদারেরা একপ্রকার গলা টিপে হত্যা করেছে স্রোতস্বিনী করতোয়াকে। শত শত মানুষ করতোয়া নদী দখল করে থাকলেও কয়েক বছর আগে স্থানীয় প্রশাসন মাত্র ৩৮ জন দখলদারের তালিকা প্রস্তুত করেন তাও তাদের অনেকে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। বক্তারা বলেন, এক সময় যে নদীতে চলতো বড় বড় নৌকা আর পাওয়া যেত দেশীয় নানা মাছ আজ সেই নদী পরিণত হয়েছে ভাগাড়ে। আজকের এই দিনের জন্য দখলদারদের দৌরাত্বের পাশাপাশি প্রশাসনের উদাসীনতাকেও দায়ী করেছেন তারা। সম্মেলনে করতোয়া নদীর জায়গা যারা দখল করে রেখেছেন তাদের নিজে থেকে তা ছেড়ে দেয়ার উদ্বার্ত আহ্বান জানানো হয় নইলে সকল বক্তা প্রশাসনকে করোতোয়া নদীকে দখল দূষণমুক্ত করতে সর্বোচ্চ কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেন। করতোয়া নদীর প্রাণ ফেরাতে প্রয়োজনে আমরণ অনশনেরও ঘোষণা দেন অনেক পরিবেশ কর্মী।