ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে পলাশবাড়ীর নেসকো প্রকৌশলী বরখাস্ত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার চুরির অভিযোগে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) পিএলসি'র উপ-বিভাগীয় (আবাসিক) প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে কোম্পানির চাকরিবিধি অনুযায়ী এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নেসকো পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সূত্র জানায়, প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি, গ্রাহক হয়রানি এবং চালু ট্রান্সফর্মার চুরির একাধিক অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নেসকো পিএলসি'র রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডলকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ২ ফেব্রুয়ারি ২০২5 সালে পলাশবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের ভেতর থেকে ৩টি এবং গাইবান্ধা রোডে সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের একটি ও রংপুর রোডে টোবাকো কোম্পানির সামনের একটি ট্রান্সফর্মারসহ মোট ৫টি চালু ট্রান্সফর্মার চুরি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা। এসব ট্রান্সফর্মার ট্রাকে করে অপসারণ করা হয়েছিল।
অফিসের একাধিক সূত্র জানায়, শুধু এই পাঁচটি নয়, আরও ট্রান্সফর্মার চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং এতে একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকতে পারেন। তদন্তে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান হলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে হারুন-অর-রশিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নেসকোর চাকরিবিধি, ২০২৩-এর ৮.১ (বি) ও (ডি) ধারায় তাকে অসদাচরণ ও দুর্নীতির আওতায় অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং ৮.৯ (এ) ধারায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে তিনি নেসকোর নির্বাহী পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) দপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে। সেইসঙ্গে বিধিমালা অনুযায়ী খোরাকি সুবিধা পাবেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম মন্ডল জানান, প্রাথমিক তদন্তে চুরির অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়েছে।
তবে তদন্ত কমিটির অপর সদস্য গাইবান্ধা নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসিফ মন্তব্য করতে রাজি হননি। অভিযুক্ত প্রকৌশলী মো. হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো বক্তব্য দিতে চাননি।