প্রকাশিত : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ০০:২৭
Joypurhat News

ক্ষেতলালে ৫২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গবাদি পশু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ

উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগ
উপজেলা সংবাদদাতা, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাটঃ
ক্ষেতলালে ৫২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গবাদি পশু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ৫২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের মাঝে গবাদি পশু ও অন্যান্য উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব উপকরণ হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ দপ্তর।

সমতল ভূমিতে বসবাসরত অনগ্রসর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জীবনমান বৃদ্ধি লক্ষ্য করে ‘সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় প্রতিটি পরিবারের মাঝে একটি করে ষাঁড় বা বকনা গরু, গরুর ঘর নির্মাণের জন্য পাঁচ পাতা টিন, চারটি খুঁটি এবং দুটি করে রাবার ম্যাট সরবরাহ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসিফ আল জিনাত সভাপতিত্ব করেন এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গবাদি পশু বিতরণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পলাশ চন্দ্র রায়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম, আলমপুর ইউনিয়নের হোসনে আরা এবং মামুদপুর ইউনিয়নের সদস্য মিলন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও আসিফ আল জিনাত বলেন, “সমাজের পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষদের গবাদি পশুর মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলার সুযোগ করে দিতে সরকার এ ধরনের সহায়তা প্রদান করছে। এর মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নত হবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনেও অগ্রগতি হবে।”

সুবিধাভোগী বড়তারা ইউনিয়নের আদিবাসী নারী সাগরিকা বিশ্বাস বলেন, “উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে গরু, টিন আর ঘরের খুঁটি পেয়েছি। এতে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি। আশা করছি, এই বকনা গরু থেকেই ভবিষ্যতে আরও গরু পালনের সুযোগ হবে।”

ডা. পলাশ চন্দ্র রায় তার বক্তব্যে বলেন, “এই প্রকল্পের মাধ্যমে যারা সুবিধা পেয়েছেন, তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এবং সমাজে স্বীকৃতিও পাচ্ছেন। সাগরিকা বিশ্বাস এর একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ভবিষ্যতেও প্রাণিসম্পদ বিভাগ এমন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।”

উপরে