সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতু থেকে রেল ট্র্যাক অপসারণ চেয়ে চিঠি

সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু থেকে বিদ্যমান রেলওয়ে ট্র্যাক অপসারণ চেয়ে সেতু বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সেতুর উপর বিদ্যমান দু’লেন সড়ক প্রশস্তকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।
যমুনা রেল সেতু চালু হওয়ার পর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা রেলওয়ে ট্র্যাকটি সেতু কর্তৃপক্ষের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে। এছাড়া, যমুনা সেতুর সড়কটির এক লেনের প্রশস্ততা ন্যূনতম ৭.৩ মিটার হওয়ার নিয়ম থাকলেও সেতুটিতে রয়েছে মাত্র ৬.৩ মিটার। সেতুর উপর রেল ট্র্যাক অপসারণ করলে সেতুর লেন দুটি আরও প্রশস্ত হবে এবং ফলে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধ হবে বলে দাবি করা হচ্ছে জেলা প্রশাসক ও সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।
১৯৯৮ সালে যমুনা বহুমুখী সেতুর সাথে রেলওয়ে ট্র্যাক চালু হয়, যা উত্তর-দক্ষিণ বঙ্গের রেল যোগাযোগ স্থাপন করে। কিন্তু ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। পরে ২০১1 সালে নতুন রেল সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং ২০১৮ সালে এটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ নতুন রেল সেতু উদ্বোধন হলে পুরনো সেতুর রেল ট্র্যাকটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, রেল ট্র্যাকটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৩ মিটার। এই ট্র্যাকটি অপসারণ করা হলে সেতুর লেন দুটি আরও প্রশস্ত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, “যমুনা সেতু দিয়ে প্রতিদিন ২০ থেকে ২২ হাজার যানবাহন পারাপার হয় এবং উৎসবকালে এটি তিনগুণ বেড়ে যায়। তাই ট্র্যাক অপসারণ এবং সড়ক প্রশস্ত করলে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।”
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, গত ১৬ মার্চ সেতু বিভাগের সচিব বরাবর একটি আবেদন পাঠানো হয়েছে সেতুর উপর থেকে পুরাতন রেল ট্র্যাকটি সরিয়ে ফেলার জন্য। বিষয়টি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বসহকারে দেখবে বলে তারা জানিয়েছেন।