বগুড়ায় জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও বগুড়া এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হক, এনডিসি, পিএসসি। গত ১৭ই মে রবিবার খান্দার ও বৃন্দাবনপাড়া এলাকার ২ জন গুরুতর আহত শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেয়াসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে সার্বিক সহযোগিতারও আশ্বাস দেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বগুড়া সদর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহানুভূতিশীল মনোভাবের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধানের নির্দেশনায় ১৭ই মে পরিদর্শন শেষেই জুলাই আন্দোলনে দৃষ্টিশক্তি হারানো শহীদ চাঁন্দু স্টেডিয়ামের নিকটবর্তী খান্দার এলাকার মোহাম্মদ ফয়সাল মাহমুদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৮ তারিখে সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা ফয়সাল গত ৪ আগস্ট চোখে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে একটি চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে যায় এবং অন্য একটি চোখের ৭৫ ভাগ নষ্ট হয়। এমন পরিস্থিতিতে জিওসি'র নির্দেশনায় উপার্জনের ব্যবস্থা হিসেবে ১৮ তারিখেই ফয়সাল মাহমুদের সরাসরি সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫শে মে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে বৃন্দাবন পাড়ায় শোয়েব উদ্দিন শিহাব ও তার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে শিহাবের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন জিওসি আসাদুল হক । উল্লেখ্য শিহাব গত ৫ই আগস্ট পুলিশের গুলিতে তার ডান পায়ে লিগামেন্ট এবং স্নায়ুতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।