প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৫ ২৩:৫৫

ধামইরহাটে বৃষ্টিতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

উপজেলা সংবাদদাতা, ধামইরহাট, নওগাঁ:
ধামইরহাটে বৃষ্টিতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক
ধামইরহাটে বৃষ্টিতে পাকা ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক। ছবিটি উপজেলা দক্ষিণ জাহানপুর মাঠ হতে তোলা। ছবি- সংবাদদাতা

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতে জমির পাকা বোরো ধান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলেও আবহাওয়ার প্রতিকূলতা ও শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক কৃষকের ধান এখনো জমিতেই রয়ে গেছে। ফলে অনেক ক্ষেতেই ধান পানিতে ভিজে পড়ে যাচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য বড় ধরণের লোকসানের আশঙ্কা তৈরি করেছে।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আমন ধান কাটার পর তারা ফসলি জমিতে বিভিন্ন রবিশস্য আবাদ করেন। যার ফলে বোরো রোপণে কিছুটা দেরি হয়। তবে ধান পাকতে শুরু করার সময় থেকেই জ্যৈষ্ঠের প্রথম সপ্তাহে আকস্মিক ভারি বর্ষণের কারণে তারা ধান কাটা ও ঘরে তোলার কাজ শুরু করতে পারেননি।

এ প্রসঙ্গে একাধিক কৃষক জানান, অনেকে আবহাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়ে ধান কেটে সেদ্ধ করলেও রোদের অভাবে ধান শুকানো যাচ্ছে না। আবার কেউ কেউ পানিতে নেমে ধান কেটে ঘরে আনলেও সেগুলো শুকাতে না পারায় ধান পচে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এতে করে উৎপাদন খরচও উঠবে না বলে জানিয়েছেন তারা।

ধামইরহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, এখনো বহু জমিতে পানি জমে আছে এবং সেই জমিগুলোর ধান পানিতে ডুবে রয়েছে। কৃষকদের মতে, যদি আবহাওয়া আগামী ১০ দিন শুষ্ক ও অনুকূল থাকত, তবে তারা জমি থেকে সব ধান ঘরে তুলতে পারতেন।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, ‘‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮ হাজার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জন হয়েছে ১৮ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ জমির ধান কৃষকরা ইতোমধ্যে কেটে ঘরে তুলেছেন।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘বৃষ্টির কারণে যেসব জমিতে ধান কাটা সম্ভব হয়নি, বৃষ্টি কমলেই কৃষকরা দ্রুত ওই ধান ঘরে তুলতে পারবেন। কৃষি অফিস থেকে সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’

উপরে