শেরপুরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযান: তিন প্রতিষ্ঠানকে ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে তিনটি খাবারের প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি, সঠিক মূল্য তালিকা না রাখা এবং মোড়ক বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এই জরিমানা আরোপ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা ও নেতৃত্ব
রোববার (১ জুন) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন বগুড়া জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. রাসেল। অভিযানে সহায়তা করেন উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং জেলা পুলিশের একটি প্রতিনিধি দল। জনস্বার্থে পরিচালিত এই অভিযানের সময় বাজারের বিভিন্ন খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা হয় খাদ্য সংরক্ষণ ও বিপণনের পরিবেশ।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠান ও অভিযোগ
এই অভিযানে নিম্নোক্ত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়:
বৈকালি দই-মিষ্টি ঘর: ৫০,০০০ টাকা
শৈলী ফুড পার্ক অ্যান্ড চাইনিজ: ৪০,০০০ টাকা
দই মেলা: ৩,০০০ টাকা
পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে ফ্রিজে রাখা খাবারের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, পণ্যের মোড়কে সঠিক তথ্য ছিল না, অনেক পণ্য মূল্য তালিকা ছাড়া বিক্রি হচ্ছিল এবং খাদ্য প্রস্তুত ও সংরক্ষণের পরিবেশ ছিল অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর।
কর্মকর্তাদের বক্তব্য
জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো. রাসেল জানান, “অভিযানে বেশ কয়েকটি গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়ে। বিশেষ করে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি এবং মূল্য তালিকা না রাখা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। আমরা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছি। কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতি ছাড় দেওয়া হবে না।”
ভোক্তাদের সতর্কতা ও আহ্বান
অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণ ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, কেউ যদি মেয়াদোত্তীর্ণ, ভেজাল বা সঠিক তথ্যবিহীন খাদ্যপণ্য দেখে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় প্রশাসন বা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ জানাতে। সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা ছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন বলে জানান কর্মকর্তারা।