রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন মেহেরচণ্ডী এলাকায় দিনে-দুপুরে ছিনতাই ও হামলার শিকার হয়েছেন দুই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেলে মেহেরচণ্ডী এলাকার জলিলের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। একদল দুর্বৃত্ত এক ছাত্রীকে হেনস্তা করে তার সোনার আংটি ও ঘড়ি ছিনিয়ে নেয় এবং তার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে মারধর করে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রী চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযোগপত্রে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে — মেহেরচণ্ডী এলাকার সামসুল হকের ছেলে সোহান (২০), মামুনের ছেলে শিথল (২২) এবং রেজাউলের ছেলে রাজু (২৩)।

কী ঘটেছিল?

মামলার এজাহারে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের কারুশিল্প বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওই ছাত্রী তার বন্ধু (ইসলাম শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী) সহ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ক্লাস শেষে ছাত্রীনিবাসে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জলিলের মোড়ে পৌঁছালে অভিযুক্ত তিনজন তাদের রাস্তায় পথরোধ করে উত্ত্যক্ত করতে থাকে ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।

এক পর্যায়ে তারা ছাত্রীর বাম হাতের সোনার আংটি ও ডান হাতে থাকা ঘড়ি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বন্ধু বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছাত্রী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তার পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করে এবং চশমা ভেঙে দেয়। তাদের চিৎকারে আশেপাশের দোকানদার ও পথচারীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন,

“এই এলাকায় কয়েকশ ছাত্রী থাকে। দিনের বেলা আমার সঙ্গে যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে অন্যদের নিরাপত্তা কোথায়? আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

পুলিশের অবস্থান

চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান,

“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এর ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একবার অভিযান চালানো হয়েছে এবং আরও অভিযান চলবে। অপরাধীদের গ্রেফতারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া

ঘটনার খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান,

“ঘটনাটি জানার পরপরই আমরা সেখানে উপস্থিত হই। থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে আলোচনা করেছি।”