প্রকাশিত : ৩০ জুন, ২০২৫ ০০:৪৯

বড়াইগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতাদি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

বড়াইগ্রাম নাটোর সংবাদদাতা
বড়াইগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতাদি আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নাটোরের বড়াইগ্রামে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল সিপাহীর নাম ব্যবহার করে ভাতাসহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা আত্মসাতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ পরিবার। রোববার (২৯ জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার জোয়ারী গ্রামের শহীদ আব্দুল জলিলের একমাত্র বোন আমেনা বেগমের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শহীদ আব্দুল জলিলের ভাগ্নির ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, শহীদ আব্দুল জলিল সিপাহী ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে সম্মুখ সমরে পাক হানাদার বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন। তাঁর মুক্তিযোদ্ধা পরিচিতি নম্বর ৩৯৩৯৩৭৩ এবং সশস্ত্র বাহিনী শহীদ গেজেট নম্বর ৫৫২।

তিনি জানান, শহীদ সিপাহীর মৃত্যুর পর তাঁর মা ও একমাত্র বোন আমেনা বেগম জীবদ্দশায় কিছু সুবিধা পেলেও পরবর্তীতে এসব সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুযোগে কৈডিমা গ্রামের মৃত সরাফাত আলী ও গোলাপজান বেগমের মেয়ে পরিনা বেগম মিথ্যাভাবে শহীদ আব্দুল জলিলের বোন পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুবিধা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করে আসছেন।

মো. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, কল্যাণ ট্রাস্ট, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এমনকি সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে বারবার লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমরা ন্যায্য দাবি ও স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত।”

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুমিয়া বলেন, “পরিনা বেগম কখনো শহীদ আব্দুল জলিলের আত্মীয় ছিলেন না। শহীদের একমাত্র বোন ছিলেন আমেনা বেগম। দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রকৃত স্বজনদেরই এসব সুবিধা পাওয়া উচিত।”

এ সময় শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে ভুয়া দাবিদার পরিনা বেগমের নামে বরাদ্দকৃত ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করার জন্য এবং শহীদ আব্দুল জলিলের যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন শহীদ আব্দুল জলিলের ভাগনে মো. খোদা বক্স ও আব্দুল মজিদ, প্রবীণ গ্রামবাসী মো. আফাজ উদ্দিন খামারু, মো. আব্দুল আউয়াল, মো. আব্দুস সামাদ সরদারসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

উপরে