প্রকাশিত : ২ জুলাই, ২০২৫ ০০:৫৫

নীলফামারীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মালামাল পাচারের সময় ১১৮টি পানির পাইপসহ দুটি ভ্যান আটক

উপজেলা সংবাদদাতা, জলঢাকা, নীলফামারীঃ
নীলফামারীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মালামাল পাচারের সময় ১১৮টি পানির পাইপসহ দুটি ভ্যান আটক

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় গভীর রাতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মালামাল পাচারের সময় ১১৮টি পানির পাইপসহ দুটি ভ্যান আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়। ঘটনাটি ঘটে সোমবার (৩০ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার কাঁঠালি ইউনিয়নের ক্যানেলপাড় এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতের আঁধারে পাঁচটি ভ্যানে করে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পাইপ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় এলাকাবাসী দুটি ভ্যানসহ তিনজনকে আটক করে জলঢাকা থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১৮টি তিন ইঞ্চি পাইপ ও দুটি ভ্যান জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

গোডাউন প্রহরীর বক্তব্য:
এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গোডাউন প্রহরী মাল্লি ইসলাম বলেন, "ঠিকাদারের লোকজন রাতের আঁধারে তালা খুলে আমাকে না জানিয়ে পাইপগুলো সরিয়ে নেয়।"

মালিকানা দাবি:
মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজের মালিক সজীব আহমেদ বলেন, "এই পাইপগুলো আমার, এগুলো গাইবান্ধায় পাঠানোর কথা ছিল। তবে রাতে এমনভাবে নেওয়া উচিত হয়নি।"

জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তার বক্তব্য:
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইউনিট ইনচার্জ) আব্দুল গফুর জানান, "পাইপগুলো ঠিকাদারের, তারা নিজেরাই সরিয়েছে। আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।"

পুলিশের বক্তব্য:
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "স্থানীয়দের সন্দেহে আমরা খবর পাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১৮টি পাইপসহ দুটি ভ্যান উদ্ধার করি। এসময় একজনকে আটক এবং ভ্যানচালক দুইজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।"

সচেতন মহলের দাবি:
স্থানীয়দের দাবি, সরকারি মালামাল রাতের আঁধারে সরানোর পেছনে দুর্নীতি বা অনিয়ম থাকতে পারে। তারা বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

উপরে