প্রকাশিত : ৩ জুলাই, ২০২৫ ০১:৪৮

নওগাঁয় অবৈধ ধান-চাল মজুতের অভিযোগ, ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

নওগাঁ সংবাদদাতাঃ
নওগাঁয় অবৈধ ধান-চাল মজুতের অভিযোগ, ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

নওগাঁ জেলায় অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত, বস্তার গায়ে মিলগেট দর, ধানের জাত এবং মিলের নাম না লেখাসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে চালকলগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (National Consumer Rights Protection Directorate) এসিআইসহ ৬টি চালকল মালিককে মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

গত বুধবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত, টানা ৫ ঘণ্টা ধরে নওগাঁ সদরমহাদেবপুর উপজেলার বিভিন্ন চালকল ও অটো রাইস মিলগুলোর বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে এই চালকলগুলিকে

অভিযানের সময় মহাদেবপুর উপজেলার সরস্বতীপুর এলাকায় অবস্থিত এসিআই ফুডস লিমিটেড রাইস ইউনিট-কে অতিরিক্ত মূল্যে আতপ চালের প্যাকেট বিক্রির দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, চকগৌরী এলাকায় অবস্থিত জিহাদ চালকলকে অবৈধ মজুত রাখার জন্য ১ লাখ টাকা, হাট চকগৌরী এলাকার লাইলি চালকলকে ১ লাখ টাকা, চৌমাশিয়া এলাকার রাকিব চালকলকে ২ লাখ টাকা, মিলন ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা, কুলসুম চাউল কলকে ৫০ হাজার টাকা এবং নওগাঁ সদর উপজেলার যুব উন্নয়ন এলাকায় অবস্থিত টিকে এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মন্তব্য

অভিযান বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নওগাঁর সহকারী পরিচালক রুবেল আহমেদ বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ধান ও চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এই দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খাদ্য আইন মেনে চলা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিয়মিত চালকল ও অটো রাইস মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযানে ৬টি চালকল থেকে বিভিন্ন অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে।”

খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা বলেন

নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, “অভিযানে প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, চালকলগুলো খাদ্য আইনের প্রতি অমান্য করে অবৈধভাবে ধান ও চাল মজুত করে রেখেছে। এসব অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা করা হয়েছে। যদি ভবিষ্যতে আরও কোনো অবৈধ মজুত পাওয়া যায়, তবে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। আশা করছি, এসব অভিযানের মাধ্যমে ধান ও চালের দাম দ্রুত কমে আসবে।”

অভিযানে অংশগ্রহণকারী বাহিনী

এই অভিযানে সেনাবাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য, খাদ্য বিভাগ এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপরে