বগুড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: ইটভাটা আত্মসাতের অপচেষ্টায় অভিযুক্ত আজিমুল হক

বগুড়া প্রেস ক্লাবে আজ (১০ জুলাই) একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মোছাঃ আকিমা আক্তার নামের এক মহিলা অভিযোগ করেন যে, তার লিজ নেওয়া ইটভাটা ও সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে মোঃ আজিমুল হক এবং তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
অভিযোগকারী মোছাঃ আকিমা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, "আমি নিজে এবং আমার পরিবার সমাজ ও বিচারব্যবস্থার নানা পর্যায়ে চেষ্টা করেও সুষ্ঠু সমাধান পেতে পারিনি, তাই আপনাদের সামনে এসে বিষয়টি তুলে ধরলাম যাতে কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায় এবং আমরা ন্যায় পাই।"
অভিযোগের মূল বিষয় হচ্ছে, তিনি ২০১৪ থেকে ২০১9 সাল পর্যন্ত সোনাতোলা উপজেলার ভেলুরপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত এমএমবি ইটভাটা লিজ নিয়ে পরিচালনা করেন। এরপর ২০২০ সালে, অংশিদারী ব্যবসার বিষয়ে চুক্তি করার পর, মোঃ আজিমুল হক তার জামাতা ও ছেলেকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে।
মোছাঃ আকিমা আক্তার আরও জানান, "আমার জামাতা ও ছেলেকে অস্ত্র প্রদর্শন করে ইটভাটা এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং প্রাথমিক নথিপত্রও আত্মসাৎ করা হয়। এরপর ২০২০ থেকে ২০২4 সালের মধ্যে অংশিদারি ব্যবসার লভ্যাংশ হিসাব করতে চাইলে সে তা গরিমসি করে।"
তিনি আরো জানান, "২০২০/২০২১ থেকে ২০২৪/২০২৫ মৌসুম পর্যন্ত মোট ৮৫ লক্ষ টাকা লভ্যাংশ পাওয়ার পরিমাণ হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি থানাপুলিশের সহায়তায় ১৯ লক্ষ টাকা পরিশোধ করলেও, এখনও ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা তার পাওনা রয়ে গেছে।"
অভিযোগকারী মোছাঃ আকিমা আক্তার অভিযোগ করেন, আজিমুল হক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি, যার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, "য despite সরকারের আমলে প্রশাসন ও পেশিশক্তির মাধ্যমে সে পাওনা পরিশোধে গরিমসি করে আসছে।"
এছাড়া, তিনি অভিযোগ করেন যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন এলাকার প্রভাবশালী ক্যাডার, যার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, বালু দস্যুতা সহ নানা অপরাধ রয়েছে। তবে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
এদিকে, মোছাঃ আকিমা আক্তার জানান, তিনি ইতিমধ্যে জমি বিক্রি করে ব্যবসায় মূলধন খাটিয়েছেন এবং বর্তমানে একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। তিনি তার পাওনা টাকা ফেরত পেতে সরকারের সহযোগিতা চান।
সামাজিক সমস্যা ও আইনগত সুরক্ষা:
অভিযোগকারী সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে সমাজের আয়না হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমি আমার সমস্যাগুলো সবার সামনে তুলে ধরতে চাই যাতে আমি এবং আমার পরিবার ন্যায় বিচার পায়।” তিনি আরও বলেন, "যতদিন না আমি আমার পাওনা ফেরত পাই, ততদিন আমি এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে থাকব।"
পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা:
এ বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, “আমি বা আমার প্রতিনিধি বহুবার থানার সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু এখনো কোন সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমি আশা করি, প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেবে।”