রংপুরে হোটেল শ্রমিককে মারধর, থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রংপুর শহরের ধাপ জেল রোডে অবস্থিত আরাফাত হোটেলে কর্মরত হোটেল শ্রমিক নুর মোহাম্মদকে (২৬) মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আহত নুর মোহাম্মদ গঙ্গাচড়া উপজেলার চেংমারী গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি গত এক বছর ধরে আরাফাত হোটেলে পরোটা কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৫ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কাজে দেরিতে উপস্থিত হওয়াকে কেন্দ্র করে নুর মোহাম্মদ ও হোটেল ম্যানেজারের ছোট ভাই মারুফ মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মারুফ মিয়া লোহার সুন্নি দিয়ে নুর মোহাম্মদের মাথা ও হাতে আঘাত করেন, এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার মাথায় ৮টি ও হাতে ৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, রংপুর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শমসের আলী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী জানান, “১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হলে জেলার সব শ্রমিক সংগঠন কর্মবিরতির ডাক দেবে।”
ঘটনার বিষয়ে হোটেল মালিক মো. মাসুম মিয়া বলেন, “ঘটনার পরপরই আমি হোটেলে এসে আহত নুর মোহাম্মদের চিকিৎসার সমস্ত খরচ নিজে বহন করেছি। প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধপত্র কিনে দিয়েছি এবং তাকে পাঁচ দিনের অগ্রিম বেতনও দিয়েছি। অভিযুক্ত মারুফ মিয়াকে হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “এ ঘটনার জেরে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ আমার ম্যানেজারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমিও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।”
অন্যদিকে, আহত নুর মোহাম্মদ নিজেও ৫ জুলাই কোতোয়ালি থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনার তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ কাজ করছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।