প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৫ ২০:৩৫

বগুড়ায় যুবদলের বিক্ষোভ মিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল

ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান
ষ্টাফ রিপোর্টার
বগুড়ায় যুবদলের বিক্ষোভ
মিছিলে নেতাকর্মীদের ঢল
প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল সংলগ্ন মাঠে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে যেখানে অংশ নেন যুবদলের সকল ইউনিটের ৩০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী। জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুন্নবী সালাম, কে এম খাইরুল বাশার প্রমুখ। বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে অবমাননা, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করছে একটি কুচক্রী মহল। তারা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। একটি চক্র আবারও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এদের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ সময় জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী বগুড়ার কোথাও যুবদলের কোন নেতাকর্মী চাঁদাবাজি করতে যায়নি। করেছে কারা তা বগুড়াবাসি সকলেই জানে। চারমাথা বাস টার্মিনাল থেকে শুরু করে হকার্স মার্কেট, শাহ ফতেহ আলী গাড়ির নিয়ন্ত্রণ সবকিছুই দখল করেছে বগুড়ার চিহ্নিত এক জামায়েত নেতা। অথচ আজ পর্যন্ত বগুড়ার মতো জায়গায় কোন স্থানে যুবদলের একজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও কেউ চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ দিতে পারবেন না। তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতি ও জনপ্রিয়তা কে ভয় পেয়ে অনেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে অনলাইন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা কটুক্তি করে যাচ্ছেন তাদেরকে ভদ্র ও শালীন ভাষায় প্রতিবাদের আহ্বান জানান এই নেতা। সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল বগুড়া জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শম্ভু, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এনামুল হক পান্না, ফেরদৌস আজম সুমন, তাজমিলুর ইসলাম বিচিত্র, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন সোহাগ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, মিনহাজুল ইসলাম রিমন, জুম্মান শেখ, রাশেদুল কবির রাশেদ, আরিফুল ইসলাম, বাবুল প্রধান, মিল্লাত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান প্রিন্স, শফিউল আলম শাফিন, কিশোর হাসান সনি ও আনিসুল হক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সুজন, প্রচার সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, শহর যুবদলের সভাপতি আহসান হাবীব মমি, সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ার গোর্কি, প্রচার সম্পাদক ওয়াসিম রেজাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সার্বিক আয়োজন প্রসঙ্গে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বগুড়ায় অনুষ্ঠিত বৃহস্পতিবারের এই বিক্ষোভ মিছিল স্মরণকালের অন্যতম বড় কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। জেলা যুবদলের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত এই অংশগ্রহণ আবারো জানান দিয়েছে তাদের একতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও দলের প্রতি নিবেদিত থাকার মানসিকতাকে। তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর হামলা, মামলা, জেল, জুলুম সহ্য করেও বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী তাদের আদর্শ থেকে এক বিন্দু পরিমাণ সরে যায়নি। রাজনীতি করলে প্রতিবন্ধকতা আসবেই কিন্তু শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তাদের অভিভাবক তারেক রহমানকে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে তার জবাব রাজপথে দিতে তারা প্রস্তুত রয়েছেন। জেলা যুবদলের পক্ষে হাসান আর বলেন, একটি গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর পায়তারা করছে তাদের এখনই শক্ত হাতে রুখে দিতে হবে। পাশাপাশি এই বাংলার জনগণ যেন সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে নির্ভয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই পরিবেশ প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রতিবাদে আয়োজিত তাদের বিক্ষোভ মিছিল সফল করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তিনি সংগঠনের পক্ষে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উপরে