জামাত নেতার বাড়িতে ভয়াবহ চুরি, ২০ লাখ টাকার সম্পদ লুট

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামে জামাত নেতা ও ছোনকা রহিমা নশের আলী কলেজের জীববিজ্ঞানের (পদর্শক) ইউসুফ আলীর বাড়িতে গত রাতে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২৭ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে রাত ৩টার দিকে চোরেরা জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে প্রায় ২০ লাখ টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়।
ইউসুফ আলীর ভাগ্নে ফিরোজ আহমেদ জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইউসুফ আলীসহ পরিবারের সদস্যরা এশার নামাজ শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে চোরেরা গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে চেতনানাশক ব্যবহার করে ইউসুফ আলী, তার স্ত্রী ও বড় মেয়েকে অচেতন করে। এরপর তারা ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ২ লাখ টাকা নগদ লুট করে পালিয়ে যায়। সকালে ফজরের নামাজের পর এক আত্মীয় বাড়িতে এসে নিস্তব্ধতা লক্ষ্য করে ঘরে ঢুকে তাদের অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দ্রুত শেরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের জ্ঞান ফিরলেও গুরুতর অবস্থার কারণে নবজাতককে বগুড়া মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইউসুফ আলীর ছেলে তাঞ্জিল সরকার জানান, বাড়িতে তার বাবা-মা, বড় বোন এবং বোনের ১৫ দিন বয়সী নবজাতক শিশু ছিল। চেতনানাশকের প্রভাবে শিশুটিও মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বগুড়া মিশন হাসপাতালে পাঠিয়েছি।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত কয়েক মাসে শেরপুর উপজেলায় জামাত নেতাদের বাড়িতে চুরি-ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান।
শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব শাহরিন বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং আলামত সংগ্রহ করে। খুব শিগগিরই অপরাধীরা আইনের আওতায় আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি আরও বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে জামাত সংশ্লিষ্ট কিছু বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে— তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।