প্রকাশিত : ৩১ জুলাই, ২০২৫ ০১:৫২

রংপুরে রেকোডিয় রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ

জালাল উদ্দিন,রংপুরঃ
রংপুরে রেকোডিয় রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ

 রংপুরে রেকোডিয় রাস্তার গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে । রংপুর মেট্রোপলিট কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । অভিযোগ সুত্রে যানাযায়,  রংপুর মহানগরীর কোতয়ালী থানাধীন ৩০ নং ওয়ার্ডস্থ দখিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ফনির হোসেন ১৯৯৭ সালে  ৬ শতক জমি ক্রয় করেন মোঃ  ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে , সেখানে চলাচলের জন্য ৭ ফিটের রাস্তার কথা উল্লেখ আছে। পরবর্তীতে ইসমাইল হোসেন ওই জমির আসপাশে থাকা তার অন্য জমি বিক্রি করেন অন্যের কাছে। সেখানে রাস্তা ৭ ফিট থাকায় তিনি সেখানে সকলের সুবিধার্থে ১২ ফিট রাস্তা করেন। কিন্তু সেখানে ৭ফিট রেকোর্ডি রাস্তা ফনির মিয়ার নামে থাকায় তিনি রাস্তা দুধারে মেহগনি, পেয়ারা, আম, সুপারীসহ বিভিন্ন গাছ লাগান। যা অনুমোতি না নিয়ে কেটে ফেলেন  পুর্বের মালিক মোঃ ইসমাইল হোসেন সহ তার লোকজন। ২৮ জুলাই সকালে গাছ কাটার সময় ফনির মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমসহ মেয়ে লিলি বেগম জামাতা জামাল হোসেন ঘটনাস্থলে আগাইগেলে ও গাছ কাটার কারণ জানতে চাইলে, ইসমাইল হোসেনসহ কুটিরপাড়া গ্রামের রনি, রানা, বাবু, রুবেল, মনোয়ার হোসেন তাদের অকথ্য ভাষা গালিগালাজ ও ধাক্কাধাক্কি করেন। এতে ফনির মিয়ার পরিবারের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়।  এ বিষয়ে ফনির মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগম বলেন, আমার স্বামী অসুস্থ্য, আমরা ৬ শতক জমি ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে কিনে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছি। জমির কবলা দলিল নং ৭৩৬২, তাং ২৬/০৬/১৯৯৭ যেখানে জমিসহ ৭ ফিট রাস্তার উল্লেখ রয়েছে যা আমরা ক্রয় করেছি। কিন্তু জমির মালিক ইসমাইল হোসেন অন্যত্র তার অন্য জমি বিক্রয় করছে। এরপর রাস্তায় চারপাশে আমাদের লাগানো গাছ আমাদেরকে না জানিয়ে কেটে ফেলেন। আমরা বাধা দিলে আমাদের উপর নির্যাতন করে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভ‚গছি। তাই আমরা নিরাপত্তাসহ ন্যায় বিচার চাই। এ বিষয়ে বিবাদী পুর্বের জমি মালিক মোঃ  ইসমাইল হোসেন বলেন, আমার কাছে ফনির মিয়া জমি কিনেছে , আমি তার চলচলের জন্য  ৭ফিট রাস্তা দিয়েছি। আমি আমার বাকি জমি বিক্রি করছি সেখানেও তাদের চলাচলের জন্য একই রাস্তা দিয়েছি। তাই আমি সকলের কথা চিন্তা করে ৭ ফিটের স্থলে ১২ ফিট রাস্তা দিচ্ছি। রাস্তায় থাকা গাছ আমি কেটে ফেলেছি এখানেতো দোষের কিছু দেখছিনা। আমার রাস্তার গাছ আমি কেটেছি রাস্তা বড় করেছি আবার সেখানে পাকা রাস্তা করবো এখানেতো তাদেরই সুবিধা।

 

 

 

 

উপরে