প্রকাশিত : ১ আগস্ট, ২০২৫ ২০:২৯

মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডি: বগুড়ায় পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ প্রার্থনা ও জন্মাষ্টমীর আলোচনা

ষ্টাফ রিপোর্টার
মাইলস্টোন ট্র‍্যাজেডি: বগুড়ায় পূজা উদযাপন পরিষদের বিশেষ প্রার্থনা ও জন্মাষ্টমীর আলোচনা
ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও আহতদের আশু রোগ মুক্তি কামনা করে বগুড়ায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা সনাতন মন্দিরে পরিষদের সভাশেষে এই প্রার্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রার্থনায় সম্প্রতি দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত পূজা উদযাপন ফ্রন্ট বগুড়া জেলা শাখার আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাসের সুস্থতা কামনার পাশাপাশি সভায় আসন্ন জন্মাষ্টমী উদযাপনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও উপজেলাভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু রায় নির্মলের সঞ্চালনায় সভায় স্ব-স্ব উপজেলায় যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জন্মাষ্টমী উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও জেলা সদরে জেলা কমিটির নিজ উদ্যোগে উক্ত অনুষ্ঠান সাড়ম্বরে উদযাপনের লক্ষ্যে নানাবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সভায় পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন স্বপন চক্রবর্তী, চঞ্চল মোহন রায়, ববিতা রানী বর্মন, রাম নারায়ণ কানু, প্রভাত সাহা, সমর দাস, অসীম দাস, প্রদ্যুৎ কুমার চাকী, পরিমল প্রসাদ রাজ, গোপাল তেওয়ারী, বিকাশ সাহা, অশোক সাহা, চন্দ্রশেখর রায়, সংগ্রাম কুন্ডু, কালাচাঁদ সাহা, আশীষ রায়, সাংবাদিক সঞ্জু রায়, কমল দত্ত, মানিক সরকার, সুকুমার সরকার, দীপক রায় প্রমুখ। পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস তার বক্তব্যের শুরুতেই মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। পাশাপাশি সম্প্রতি বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অতুল চন্দ্র দাসের উপরে দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার আশু রোগমুক্তি কামনা করেন। এছাড়াও জন্মাষ্টমীকে সামনে রেখে সভায় পরিমল বলেন, ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে বগুড়ায় জন্মাষ্টমী উদযাপনের লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কোন কুচক্রী মহল যেন বৃহৎ এই আয়োজনকে ঘিরে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে বগুড়ার ১২টি উপজেলার নেতৃবৃন্দদের তিনি নিজেদের সজাগ থাকার পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধনের নির্দেশনা দেন। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে নির্বিঘ্ন আয়োজন সম্পন্ন করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপরে