প্রকাশিত : ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ০৪:০২

টানা বৃষ্টিতে শেরপুরে সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

এনামুল হক, শেরপুর, বগুড়াঃ
টানা বৃষ্টিতে শেরপুরে সবজির দাম বেড়েছে দ্বিগুণ

টানা বৃষ্টি এবং করতোয়া ও বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে শেরপুরে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ, যার ফলস্বরূপ স্থানীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার খামারকান্দি, মির্জাপুর, খানপুর এবং সুঘাট ইউনিয়নের উর্বর নিম্নভূমি অঞ্চলের সবজি ক্ষেতগুলো বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

শনিবার শেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুণ বেড়েছে। গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী বাজারে, যা এই অঞ্চলের সর্ববৃহৎ সবজির পাইকারি বাজার, সেখানে স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী উপজেলার কৃষকদের আনা সবজির পরিমাণ অনেক কমে গেছে।

দাম বৃদ্ধির চিত্র:  কচুর মুখি: ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা কেজি। বেগুন: ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি। পটল: ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৮০ টাকা কেজি। ঢেঁড়স ও করলা: ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০ টাকা কেজি।কাঁচা মরিচ: ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা কেজি। আলু: ২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা কেজি। পেঁপে: ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা কেজি। কাঁচা কলা: ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা কেজি। পিঁয়াজ: ৬০-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭৫-৮০ টাকা কেজি।

বিক্রেতারা জানান, পিয়াজের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রসুন: ৬০-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ১০০ টাকা কেজি। আদা: ১৬০ টাকা থেকে কমে ১৪০ টাকা কেজি, যা বাজারে একমাত্র ব্যতিক্রম।

এছাড়া, শাকের দামও বেড়েছে। লাল শাক ও মুলার শাকের আঁটি ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে।

ফুলবাড়ী বাজারের এক বিক্রেতা জানান, “এই সময়টায় সাধারণত সবজির সরবরাহ ভালো থাকে। কিন্তু হঠাৎ বন্যায় ক্ষেত ডুবে গেছে। বাজারে মাল কম আসায় দাম এমন বেড়ে গেছে।”
আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে সবজির উৎপাদন স্বাভাবিক হবে এবং বাজারেও দামে স্বস্তি ফিরবে।

মির্জাপুর ইউনিয়নের এক কৃষক বলেন, “আমার ১০ শতক জমিতে পটল আর মরিচ ছিল। বেশিরভাগ পানিতে নষ্ট। এখন আবার বীজ কিনে রোপণ করতে হবে”

সবজির পাশাপাশি চালের দামেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে কাটারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি এবং ২৯ জাতের চালের কেজি ৬০ টাকা।

উপরে