জলঢাকায় অবৈধ লটারি বিক্রির বিরুদ্ধে মানববন্ধন, বিকেলে প্রশাসনের অভিযান
জলঢাকায় অবৈধ লটারি জুয়ার টিকিট বিক্রির প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনের পরপরই প্রশাসনের অভিযানে আটক হন দুইজন, জব্দ করা হয় লটারির বক্স ও অটোরিকশা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় শহরের শহীদ আবু সাঈদ চত্বর (ট্রাফিক মোড়) এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, লটারির নামে চলছে প্রকাশ্য অর্থলুণ্ঠন। প্রতারণার মাধ্যমে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের অর্থ। তরুণ প্রজন্ম আসক্ত হয়ে পড়ছে এবং ধ্বংস হচ্ছে সামাজিক পরিবেশ। অথচ প্রশাসনের চোখের সামনেই দিনের পর দিন এ জুয়ার আসর চলছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট শাহিন, ইউনুস আলী, ডাক্তার আনোয়ার, রক্সি, মিজান, মাহবুবসহ আরও অনেকে। তারা অবিলম্বে জলঢাকায় সব ধরনের লটারি টিকিট বিক্রি বন্ধ ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধনের খবর প্রকাশের পর বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম সারওয়ার রাব্বির নেতৃত্বে অভিযানে দুইটি অটোরিকশা ও পাঁচটি লটারির বক্স জব্দ করা হয়। এ সময় জয়পুরহাট সদর উপজেলার রঞ্জনপুর এলাকার জহুরুল হকের ছেলে মাহবুব হোসেন এবং দিনাজপুর দক্ষিণ বালুবাড়ী এলাকার শাহজাদা আলমের ছেলে সাগর ইসলামকে আটক করে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম সারওয়ার রাব্বি বলেন, “মানববন্ধনের পরপরই আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। অবৈধভাবে লটারি বিক্রির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ এ কাজে জড়িত থাকলে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।”
সচেতন নাগরিক সমাজ প্রশাসনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, এটি ইতিবাচক উদ্যোগ হলেও স্থায়ীভাবে এ ব্যবসা বন্ধে আরও কঠোর নজরদারি প্রয়োজন। তাদের দাবি, এ ধরনের কার্যকলাপ যেন আর কখনো চালু হতে না পারে সে জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ জরুরি।
