প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৫ ০০:৫৩

করতোয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি ও রাস্তা

এনামুল হক, বগুড়াঃ
করতোয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন ঘরবাড়ি ও রাস্তা

বগুড়ার শেরপুর ও সদরের বিভিন্ন এলাকায় করতোয়া নদীর ভয়াবহ ভাঙনে তীরবর্তী ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও সড়ক বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। খামাকান্দি, মির্জাপুর ও সুঘাট ইউনিয়নের অন্তত আট-দশটি স্থানে নদীভাঙনের চিত্র এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মির্জাপুর ইউনিয়নের কাশিয়াবালায় অন্তত তিনটি স্থানে এবং সুঘাট ইউনিয়নে পাঁচটি স্থানে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক বাড়িঘর ও কৃষিজমি নদীতে তলিয়ে গেছে।

ভাঙনের কবলে রয়েছে মির্জাপুর-জোড়গাছা আঞ্চলিক সড়ক। সড়কের বহু অংশ করতোয়ার গর্ভে ধসে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন। এ ছাড়া গাড়ীদহ ইউনিয়নের ফুলবাড়ী বাজারসংলগ্ন সড়কটি ২০২২ সালে ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করা হলেও বর্তমানে আবার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সড়কের ১৩০ মিটার অংশ নদীর পাড় ঘেঁষে হওয়ায় বর্ষার চাপে ওই অংশে নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। অথচ এটি এলাকাবাসীর একমাত্র সবজি বাজারে প্রবেশের প্রধান পথ।

স্থানীয় ভ্যানচালক রহিম উদ্দিন বলেন, “সড়কের অবস্থা এত খারাপ, ভ্যান চালাতে গেলেই মনে হয় এখনই পড়ে যাবো। সামান্য ভুল হলেই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তবু ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।”

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা থেকে বগুড়ার শেরপুর পর্যন্ত ১২৩ কিলোমিটার করতোয়া নদী খননের একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে ২০২৪ সালে সদর ও শাজাহানপুর অংশে প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭ কিলোমিটার খনন কাজ শুরু হয়েছে। কিছু অংশে সৌন্দর্যবর্ধনে গাছও লাগানো হয়েছে।

শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নিবারণ চক্রবর্তী বলেন, “বর্ষায় পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় নদীর নাব্যতা সাময়িকভাবে বাড়ে। কিন্তু স্থায়ী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙন দেখা দেয়। আমরা খনন ও প্রতিরক্ষা প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য সুপারিশ পাঠিয়েছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।”

উপরে