গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গসংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম (৪০) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রিফাত মন্ডল সৌরভ (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। এর আগে ভোরে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং সেন্টারের আবাসিক ভবন থেকে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতলগ্রাম এলাকার সামিউল ইসলামের ছেলে।

উল্লেখ্য, গত রোববার সকালে (১৭ আগস্ট) নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রাম এলাকায় স্থানীয়রা নজরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত নজরুল স্থানীয় মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি দোকান চালানোর পাশাপাশি বিকাশ ও নগদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, দেড় মাস আগে নজরুলের দোকানে চুরির অভিযোগে সৌরভ ধরা পড়লে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সৌরভ হত্যার পরিকল্পনা করে। হত্যার রাতে নজরুলকে ফোনে ডেকে নিয়ে প্রথমে ক্লোরোফর্ম মেশানো রুমাল মুখে চেপে ধরে অচেতন করে এবং পরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর নিহতের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে।

হত্যার পর একটি মোবাইল স্থানীয় পুকুরে ফেলে দেয় এবং অন্যটি গোবিন্দগঞ্জ সরকারি মসজিদ মার্কেটের একটি দোকানের টিনের ছাউনির ওপরে রেখে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সৌরভকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, “তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় স্বল্প সময়েই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”