প্রকাশিত : ২০ আগস্ট, ২০২৫ ০৪:৫৬
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত এক ডলফিন
এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন। প্রায় ৬ ফুট দৈর্ঘ্যে ডলফিনটির। এর পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। ডলফিনটি দেখার জন্য স্থানীয়সহ ঘুরতে আসা পর্যটকরাও ভীঁড় জমিয়েছেন সৈকতে।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় কুয়াকাটা সৈকত থেকে ২ কিলোমিটার পূর্বদিকে ঝাউবন এলাকায় ডলফিনটি দেখতে পান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলেন, সৈকতে প্রায় সময়ই মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ডলফিনটি মনেহয় এক সপ্তাহ আগে জালে আটকে মারা যেতে পারে।
জলজ প্রানী বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডলফিন শুধু সমুদ্রের প্রাণী নয়, এটি সমুদ্র পরিবেশের স্বাস্থ্য ও ভারসাম্যের এক গুরুত্বপূর্ণ সূচক। ডলফিনের উপস্থিতি সমুদ্রের ইকোসিস্টেমকে সুস্থ রাখে, মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে সুরক্ষা দেয়, এবং স্থানীয় পর্যটন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে।
সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক বখতিয়ার উদ্দিন জানান,এটি মূলত ইরাবতী প্রজাতির ডলফিন (Orcaella brevirostris) রক্তাক্ত দাগ থেকে দেখা যায়, নৌযান, মাছ ধরার যন্ত্র ও জেলেদের কার্যক্রমই মৃত্যুর মূল কারণ। নদী ও মোহনার দূষিত পানি যেমন শিল্প বর্জ্য, প্লাস্টিক ও তেল ও হুমকি সৃষ্টি করছে। গবেষকরা স্থানীয় সচেতনতা বৃদ্ধির এবং ডলফিন অভয়ারণ্য এলাকায় জাল ব্যবহারে সীমাবদ্ধতার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে কুয়াকাটার জলজ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত থাকে।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে বনবিভাগের টিম পাঠিয়েছি। মৃত ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।