প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ০৯:৩৭

ভিআইপি টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণে চীন সফর, খরচ দিচ্ছে ঠিকাদার

চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্টঃ
ভিআইপি টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণে চীন সফর, খরচ দিচ্ছে ঠিকাদার
ভ্রাম্যমান টয়লেটের প্রতীকি ছবি। - সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার বিভাগের তিন কর্মকর্তা নতুন পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ (ভিআইপি) টয়লেট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চীন যাচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক আদেশে (জিও) তাদের বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর অথবা ছুটি শুরুর তারিখ থেকে সাত দিনের জন্য এই সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সফরে যাচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. ফারুক হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুজ্জামান এবং উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন।

সরকারি আদেশে আরও বলা হয়, নতুন পাঁচটি মোবাইল (ভিআইপি) টয়লেট সরবরাহের বিপরীতে কর্মকর্তারা এগুলোর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণবিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন। এ ভ্রমণকে দায়িত্বের অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং সব ধরনের ব্যয় বহন করবে উৎপাদক প্রতিষ্ঠান শ্যাংডং কিউয়ানবাই ইন্টেলিজেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড।

তবে, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরেই নির্দেশ দিয়ে আসছে যে কোনো ঠিকাদার বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে হবে। এ ধরনের সফর নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

পূর্বেও সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে গেছেন। শুধু স্থানীয় সরকার বিভাগ নয়, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), আইএমইডি ও অন্যান্য সংস্থার প্রায় ৩৫ জন কর্মকর্তা ঠিকাদার বা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন বলে জানা গেছে।

সাধারণত নতুন যন্ত্রপাতি, ট্রেইলার, চেইন ডোজার কিংবা স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্টের অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রশিক্ষণের শিরোনামে এসব অনুমোদন দেওয়া হয়। অথচ সরকারি বিধি অনুযায়ী, জরুরি জাতীয় স্বার্থ ছাড়া কর্মকর্তারা একসঙ্গে বিদেশ সফরে যেতে পারবেন না। সরকারি অর্থে গেলে সেটিও হতে হবে ন্যূনতম ও অপরিহার্য।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর কমাতে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ঠিকাদার বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে ভ্রমণ অনৈতিক। এতে কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আনুগত্য তৈরি হয় এবং মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করার দায়িত্বে প্রভাব পড়ে।”

উপরে