নীলফামারীতে নববধূর আত্মহত্যা: সড়ক অবরোধ, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
নীলফামারীর জলঢাকায় নববধূর আত্মহত্যার ঘটনায় সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে এবং এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের চিড়াভিজা গ্রামের দলবাড়ীপাড়ায় ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টার সময় নিজ শয়নকক্ষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন রাহিম ইসলামের স্ত্রী জেসমিন আক্তার রুমি (২০)। বিষয়টি জানার পর জলঢাকা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
এরপর বুধবার সকাল ১০টায় নিহত জেসমিন আক্তারের স্বামী রাহিম ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন থানায় এসে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ ফেরত চাইলে পুলিশ অস্বীকৃতি জানায়। এতে নিহতের পরিবার ক্ষিপ্ত হয়ে থানার বাইরে এসে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। একঘণ্টা সময় ধরে চলা এই অবরোধে কয়েকশ যানবাহন সড়কের দু’পাশে আটকে পড়ে যান। পরে শ্রমিক নেতারা পরিস্থিতি বুঝিয়ে সড়ক অবরোধ উঠে যায়।
অবরোধের সময় নিহতের বাবা গণমাধ্যমকে অভিযোগ করেন, “আমার মেয়ে নিহতের ঘটনায় আমার কোনো দাবি নেই। তবে আল আমিন নামের একজন সাংবাদিক লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই উদ্ধারের কথা বলে এবং থানার দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেছেন।” এ বিষয়ে সাংবাদিক আল আমিন বলেন, “আমার নিজের ভাগ্নী হওয়ায় আমি শুধু সমঝোতার চেষ্টা করেছি,” তবে টাকা চাওয়ার বিষয়ে মুখে কিছু বলেননি।
জলঢাকা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “পরিবারের অযৌক্তিক দাবি মেনে না নেওয়ায় তারা থানায় মব তৈরির চেষ্টা করে এবং কিছু সময়ের জন্য সড়ক অবরোধ করে। পরে পরিস্থিতি বুঝে তারা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষে প্রাসঙ্গিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
