গাবতলীতে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা
বগুড়ার গাবতলীতে মনিকা খাতুন (২১) নামের এক গৃহবধুকে যৌতুকের দাবীতে হত্যার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাসূত্রে জানা গেছে, গাবতলীর নশিপুর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মামুন মন্ডলের মেয়ে মনিকা খাতুন মনিকার সঙ্গে একই উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের পাইকারপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোমিন মিয়ার (২৫) পারিবারিক প্রস্তাবে ৩বছর আগে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার বর্তমান বয়স ২বছর। এরপর মোমিন হঠাৎই যেনো যৌতুকলোভী হয়ে উঠে। দাবী করে বসে নগদ ৫লাখ টাকা ও একটি মোটর সাইকেল। কিন্তু এসব যৌতুক দিতে অস্বীকার জানায় মনিকার বাবা। এতে মোমিন ক্ষিপ্ত হয়ে মনিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। নিরুপায় হয়ে মনিকার বাবা তার জামাই মোমিনকে গত একমাস পূর্বে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেন। তবে নগদ ৫লাখ টাকার দাবীতে মনিকাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেই থাকে যৌতুকলোভী মোমিন। এক পর্যায়ে গত ২৪আগষ্ট বিকেল সাড়ে ৪টায় মনিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে চালানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় গত ২১ সেপ্টেম্বর মনিকার বাবা মামুন মন্ডল বাদী হয়ে বগুড়া জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ট্রাইব্যুনাল-২-এর আদালতে ৪জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে থানার এস আই সোহাগ জানান, গত ২৪আগষ্ট লাশ উদ্ধার করে থানায় এনে ২৫আগষ্ট সকালে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছিল। পরে মনিকার মরদেহ তার বাবার জিম্মায় দেয়া হয়েছিল। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনো আমরা হাতে পাইনি। রিপোর্টটি হাতে পেলেই জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।
