অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস
রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের আখড়ায় পরিণত হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) দুরুল হোদা। গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হলেও এখনো তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
গত ১৩ আগস্ট স্থানীয় গণমাধ্যমে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে অফিসের প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিয়ন সোহাগকে বদলি করা হয়। তবে রহস্যজনকভাবে নায়েব দুরুল হোদাকে বহাল রাখা হয় পদে। এতে তার মনোবল আরও বেড়ে যায় এবং অভিযোগ অনুযায়ী তিনি আগের চেয়েও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
স্থানীয়রা জানান, খাজনা অনুমোদন, খারিজ প্রতিবেদন, হোল্ডিং এন্ট্রি বা মিসকেসের কাজ—সবকিছুর জন্যই ঘুষ দিতে হয়। ঘুষের পরিমাণ দুই হাজার থেকে শুরু করে প্রায় এক লাখ টাকা পর্যন্ত। এমনকি অফিসে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলে তিনি নিয়মিত টাকা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দুরুল হোদা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি; বরং ফোন কেটে দেন।
অন্যদিকে, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন,
“সংবাদ প্রকাশের পর আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধান করেছি। দুরুল হোদার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার জবাব পাওয়ার পর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সেবাপ্রত্যাশীদের প্রশ্ন—প্রমাণিত অভিযোগের পরও কেন নায়েব দুরুল হোদা এখনো বহাল তবিয়তে?
