বস্তা খেকো শাহীন: বিএডিসিতে প্রশাসনিক সংকট
বগুড়ার পুরান শহরে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বীজ সংগ্রহ কেন্দ্র এখন কার্যত স্থবির। কর্মকর্তাদের অনুযায়ী, ৭,৭০৭টি খালি বস্তা অনুপস্থিত থাকার কারণে ২০২৪–২৫ উৎপাদন বর্ষের আমন সিজনের ধানবীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
অফিস সূত্রে জানা যায়, উপসহকারী পরিচালক এস. এম. শাহীনুল হক এর দায়িত্বভার হস্তান্তরের সময় কিছু বস্তা কম ছিল। পরবর্তীতে তাকে ৩,০২৯টি বস্তা বুঝিয়ে দেওয়া হলেও অবশিষ্ট ৭,৭০৭টি বস্তা এখনও ফেরত দেয়া হয়নি। অফিসের পক্ষ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে বস্তা ফেরত চাওয়া হলেও তা কার্যকর হয়নি।
এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকারি গুদামে থাকা বস্তা না থাকায় মাঠের কর্মকর্তারা বীজ নিতে পারছেন না, ফলে কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা মানসম্মত ধানবীজ সংরক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে।”
বিএডিসির উপপরিচালক শামীনা পারভীন জানান, বস্তাগুলো এখনও জমা দেননি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে; বর্তমানে তদন্ত চলছে। অপরদিকে শাহীনুল হক মাটির পরিদর্শনে ব্যস্ত থাকার কারণে এখনও মন্তব্য দেননি।
স্থানীয় কৃষকরা এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন কৃষক বলেন, “এতো গুরুত্বপূর্ণ বস্তা হারানো মানে আমাদের ফসলের বীজও ঝুঁকিতে।”
৭,৭০৭টি বস্তার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী, এটি সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ প্রতিরোধ আইন, ১৯৭৯-এর আওতায় পড়ে। সচেতন মহল মনে করছে, একজন কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পুরো কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, ৭,৭০৭টি সরকারি বস্তা কোথায়? এবং কখন পর্যন্ত কার্যক্রম সচল হবে?
