প্রকাশিত : ২১ নভেম্বর, ২০২৫ ২৩:৪৬

রাণীনগরে বিরল রোগে আক্রান্ত লালমন।। অর্থের অভাবে থেমে গেছে উন্নত চিকিৎসা

উপজেলা সংবাদদাতা, রাণীনগর, নওগাঁ:
রাণীনগরে বিরল রোগে আক্রান্ত লালমন।। অর্থের অভাবে থেমে গেছে উন্নত চিকিৎসা

নওগাঁর রাণীনগরে মো. লালমন (৩৭) নামে এক বাকপ্রতিবন্ধী দিনমজুর বিরল এমএনডি (মোটর নিউরন ডিজিজ) রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। দিন যত যাচ্ছে, ততই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন দুই সন্তানের জনক লালমন। দেশে এই বিরল রোগের চিকিৎসা সহজলভ্য না হওয়া এবং অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না তার দরিদ্র পরিবার।

বিরল রোগে আক্রান্ত লালমন রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল শোলাপাড়া গ্রামের দিনমজুর আমজাদের ছেলে। লালমনের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারি সহযোগিতা এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে পরিবার।

লালমনের মামা আব্দুল মজিদ জানান, তারা শোলারপুকুর পাড়ের খাস জমিতে বসবাস করেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি লালমন ও তার বাবা, যারা দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। ছোটবেলা থেকেই বাকপ্রতিবন্ধী লালমন ইশারার মাধ্যমে কথা বলতেন। দিনমজুরির কাজ করেই চলতো তার পরিবার। বিয়ের পর তার এক ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম নেয়।

কিন্তু গত এক বছর ধরে লালমন শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে থাকেন। হাত-পায়ের আঙুলের মাংস শুকিয়ে যাচ্ছে, ঠিকভাবে দাঁড়াতেও পারছেন না। ঢাকা ও রাজশাহীর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন—এ রোগের উন্নত চিকিৎসা দেশে নেই। পরে ঢাকার একটি চীনা আকুপাংচার সেন্টারে যোগাযোগ করলে দুই মাসের থেরাপির জন্য ২ লাখ টাকা চাওয়া হয়। এত টাকা জোগাড় করা লালমনের দিনমজুর পরিবারটির পক্ষে অসম্ভব। ফলে চরম অর্থসংকটে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে।

লালমনের মা লাইলি আক্তার বলেন,
“দিনমজুরি না করলে সংসার চলে না। গরিবের ঘরে আল্লাহ কেন এমন রোগ দিলেন বুঝতে পারছি না। যা পারি করেছি, কিন্তু টাকা না থাকায় আর চিকিৎসা করাতে পারছি না। একজন মানুষের আয়ে কোনোমতে সংসার চলছে। সরকার ও সমাজের ভালো মানুষরা সহযোগিতা করলে হয়তো ছেলে সুস্থ হতে পারবে।”

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাকিবুল হাসান বলেন,
“লালমনের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে।”

 

সহযোগিতা পাঠানোর নম্বর

বিকাশ: ০১৭৮৩–৮৪২৭৫৯
(লালমনের মামা — আব্দুল মজিদ)

উপরে