কৃষি কর্মকর্তাকে হানিট্র্যাপে ফেলে চাঁদা দাবি: বগুড়ায় দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা
বগুড়ায় কৃষি বিভাগের উপপরিচালক মোহা. মশিদুল হককে হানিট্র্যাপে ফেলে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষে দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
তবে একই কর্মকর্তা বিরুদ্ধে রত্না পারভীন নিপা নামের এক নারীর করা ধর্ষণ মামলার অভিযোগ তদন্তে অসত্য প্রমাণিত হওয়ায় পুলিশ তাকে দায়মুক্তির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ওই মামলায় মশিদুল হকের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে ধর্ষণ মামলায় অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
অপরদিকে হানিট্র্যাপ ও চাঁদা দাবির মামলায় আলামত, ভিডিওচিত্র এবং সাক্ষ্য–প্রমাণ পর্যালোচনায় অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় দুইজনকে আসামি করে গত ১০ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন—বগুড়া শহরের মালগ্রাম এলাকার রত্না পারভীন নিপা এবং সেউজগাড়ীর সৌরভ।
চার্জশিটে বলা হয়, মশিদুল হক জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে যোগদানের পর থেকেই বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন। গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে শহরের জলেশ্বরীতলা ইয়াকুবিয়া মোড়ে তাকে কৌশলে আটকানো হয়। এরপর জড়িতরা তাকে একটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্য সাজিয়ে চিত্র ধারণ করে।
পরবর্তীতে ১ আগস্ট বগুড়া সদর থানায় হানিট্র্যাপ ও চাঁদা দাবির ঘটনায় মামলা করেন উপপরিচালক মশিদুল হক। তদন্তে আলামত মিলায় পুলিশ এই দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।
