প্রকাশিত : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪২
সলঙ্গায় চাঞ্চল্যকর লাবনী হত্যার রহস্য উদঘাটন, আটক ১
উপজেলা সংবাদদাতা, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নাহিদ সুলতানা লাবনী -২৫- হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। প্রেমঘটিত দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় বলে জানিয়েছে সলঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মিলন হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত লাবনী ধুবিল কাটার মহলের আব্দুল কাইয়ুম রিগানের স্ত্রী। তাঁর বাবা গোলাম মোস্তফা ৩০ নভেম্বর সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, জগজীবনপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে লাবনীর সঙ্গে ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় রিগানের। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের আগে থেকেই বড় গোজা গ্রামের মিলন হোসাইনের সঙ্গে লাবনীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা বিয়ের পরও গোপনে চলতে থাকে।
গত ২৯ নভেম্বর বিকেলে স্বামী বাড়িতে না থাকায় লাবনী ফোন করে মিলনকে বাসায় ডাকেন। সে সময় লাবনী তার ভাগ্নী ও মেয়েকে বাজারে পাঠিয়ে দেন। পরে প্রথমবার তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর মিলন বাড়ি থেকে ফোন পাওয়ায় চলে যেতে চাইলে লাবনী বাধা দেন। এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। দ্বিতীয়বার শারীরিক সম্পর্কে মিলন রাজি না হওয়ায় কথা-কাটাকাটি চরমে পৌঁছায়। হাতাহাতির একপর্যায়ে মিলন লাবনীর গলা চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।
হত্যার পর মিলন লাবনীর ভাগ্নীকে ডেকে বলে লাবনী অজ্ঞান হয়ে গেছে—এরপর সে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। রাতে প্রায় পৌনে ৪টার দিকে ভাগ্নী বিষয়টি লাবনীর বাবাকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে।
প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মিলনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। তার কাছ থেকে লাবনীর ৪ ভরি স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা -ওসি- হুমায়ূন কবির বলেন, “প্রথমে এটি আত্মহত্যা মনে হওয়ায় ইউডি মামলা হয়েছিল। তবে ঘটনাস্থলের আলামত ও তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘাতক প্রেমিক মিলনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। আদালতে মিলন হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
