প্রকাশিত : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:৪৭
নন্দীগ্রামে শীতের শুরুতেই জমে উঠেছে ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম
উপজেলা সংবাদদাতা, নন্দীগ্রাম, বগুড়াঃ
নন্দীগ্রামে শীত পড়তে না পড়তেই জমে উঠেছে ভাপা পিঠা বিক্রি ধুম। গত কয়েক সপ্তাহ যাবৎ ভোর ও সন্ধ্যায় কুয়াশার মধ্যে দিয়ে শীতের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে। শীত শুরুর সঙ্গে সঙ্গে চলছে পিঠা বিক্রির ধুম। পিঠা নিয়ে বাঙালির আবেগ চিরকালের। নানা রকমের পিঠার আয়োজনের মধ্যে অন্যতম হলো ভাপা পিঠা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন এই উপজেলার মৌসুমি পিঠা ব্যবসায়ীরা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা বয়সী মানুষ পিঠা খেতে আসছেন পিঠার দোকানে। তবে আগের মত এখন আর বাড়িতে ভাপা পিঠা তৈরির উৎসাহ দেখা যায় না। বর্তমানে অভিনব পন্থায় রাস্তার পাশে, অলিতে-গলিতে ও মোড়ে-মোড়ে ভাপা পিঠা বিক্রি হতে দেখা যায়। পিঠা প্রেমীদের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে এসব দোকান। শীতের মৌসুমে মুখে জল আনা ভাপা পিঠার দোকানে ভিড় করছে শিশু-কিশোর, বৃদ্ধসহ প্রায় সকল বয়সী মানুষ। কেউ কেউ আবার পিঠা খেতে খেতে মজার গল্পে মেতে উঠছেন পিঠার দোকানে। নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজারে ভাপা পিঠা বিক্রির দৃশ্য দেখা গেছে।
মিলু প্রোফেসর নামের এক পিঠাপ্রেমী জানান, আমরা প্রায়ই বাসস্ট্যান্ড থেকে পিঠা খাই। চাল ভেঙে আটা করে পিঠা বানানোর সময় সুযোগ হয় না। ঝামেলা ছাড়া স্বল্প দামে হাতের নাগালে এখন পিঠা পাই।
পিঠা খেতে আসা দুলাল হোসেন বলেন, বাজারে ১০টাকায় নারিকেল-গুড় দিয়ে সুস্বাদু ভাপা পিঠা পাওয়া যায়। ভালো লাগে, তাই নিয়মিত বন্ধু বান্ধব নিয়ে খেতে আসি।
পিঠা দোকানী জানান, শীতকালে এলেই ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজারে ও মোড়ে পিঠা বিক্রি করে থাকি। অন্য সময় ঝালমুড়ি, ফুচকা, চটপটি বিক্রির কাজ করি। এখন পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তাই দিয়ে সংসার ভালো ভাবে চলে। শীত বাড়লে পিঠা বিক্রি আরো বেড়ে যাবে। চালের গুঁড়ার সঙ্গে গুড় এবং নারিকেল মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। প্রতিপিস পিঠা বিক্রি করছি ১৫টাকা। প্রতিদিন বিকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে পিঠা তৈরি ও বিক্রির কাজ। দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০শত পিস পিঠা বিক্রি করলে খরচ বাদ দিয়ে ছয়-সাতশ টাকা আয় হয়।
চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, ভাপা পিঠা আমাদের দেশের গ্রামীণ বাংলার দেশীয় সংস্কৃতি লালন করছে। অন্য দিকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বেকারত্ব দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে ভালো লাভ হওয়ায় এখন নারী-পুরুষ নেমেছেন এ পিঠা ব্যবসায়।
