প্রকাশিত : ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩২

ঢাকায় রাশিয়ার গণ-কূটনীতির শতবর্ষ ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন

ষ্টাফ রিপোর্টার
ঢাকায় রাশিয়ার গণ-কূটনীতির শতবর্ষ ও
বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন
রুশ জনগণের গণ-কূটনীতির শতবর্ষ এবং বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকায় রাশিয়ান হাউসের আয়োজনে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার মুক্তমঞ্চ রবীন্দ্র সরোবরে জমকালো এই আয়োজনে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি দর্শক অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে ছিল বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সাংস্কৃতিক দলসমূহের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। রুশ ও বাংলা সংগীতের ঐতিহ্যবাহী এবং সমসাময়িক উপস্থাপনা করেন শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পাশাপাশি জনপ্রিয় ব্যান্ড সোনার বাংলা সার্কাস এবং সংগীতশিল্পী দল আকাশ অ্যান্ড কো.। দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধনের সাক্ষী হিসেবে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানটি সম্পর্কের গভীরতাকে আরও একবার তুলে ধরে। আয়োজনে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের কূটনৈতিক ও কৌশলগত সহায়তার পাশাপাশি জাতিসংঘে ভেটো প্রয়োগ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। আয়োজকরা মনে করেন আজ দুই দেশের এই বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী হয়েছে সোভিয়েত ও রাশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা ৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি পেশাজীবীর মাধ্যমে। যারা বাংলাদেশের অর্থনীতি, জ্বালানি খাত, বিজ্ঞান ও প্রশাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশে বসবাসরত রুশ প্রবাসীরাও তরুণ প্রজন্মের পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও রাশিয়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও আধুনিক প্রযুক্তি খাতে পেশাগত সম্ভাবনার সাথে তাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী তরুণ বীরদের প্রতি অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যাদের সাহস ও আত্মদান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি স্থাপন করে। উপস্থিত আলোচনায় আধুনিক কৌশলগত অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল প্রতীক হিসেবে রোসাটম স্টেট কর্পোরেশনের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কথাও গুরুত্বসহ তুলে ধরা হয়। ২ হাজার ৪'শ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই কেন্দ্র বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিকে স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করবে এবং এর সাথে যুক্ত রয়েছে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও জাতীয় জনশক্তি উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচিও। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো দর্শকের সামনে রাশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি প্রাণখুলে উদযাপন করা হয় গণ-কূটনীতির শতবর্ষ ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস। এমন আয়োজন দুই দেশের জনগণের সাথে আত্মিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি শক্তিশালী করবে পারস্পারিক বন্ধন এমনই মনে করছেন সকলে।
উপরে