প্রকাশিত : ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৬

ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মৈত্রী দিবস উদযাপন

ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে- প্রণয় ভার্মা
ষ্টাফ রিপোর্টার
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের 
মৈত্রী দিবস উদযাপন
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত স্থিতিশীল, ইতিবাচক, গঠনমূলক ও ভবিষ্যৎমুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টারে ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে মৈত্রী দিবস ২০২৫-এর ৫৪তম বার্ষিকীতে তিনি এই মন্তব্য করেন অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা দিনটিকে দুই দেশের সম্পর্কের ইতিহাসে ‌‘এক ঐতিহাসিক মাইলফলক’ বলে উল্লেখ করেন। প্রণয় ভার্মা বলেন, সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে গড়ে উঠবে দুই দেশের সম্পর্ক, আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে উভয় দেশের জনগণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অতীতের যৌথ ত্যাগের অনুপ্রেরণা এবং ভবিষ্যতের নতুন আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে উভয় দেশ মিলিতভাবে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করবে এবং সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণে এক মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দুই দেশের সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও শিল্পগৌরব সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। আয়োজনে প্রথম পরিবেশনা ছিল ‘৭১ ইন সাইলেন্স’ শিরোনামে সুন্দারাম প্রোডাকশনের শারীরিক ভাষাভিত্তিক থিয়েটার, যার নির্দেশনা দেন রমেশ মায়াপ্পান। প্রতিবন্ধীবান্ধব এ নাটকটি বাংলাদেশ জন্মের গল্পকে সৃষ্টিশীল উপস্থাপনায় তুলে ধরে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা ও পরিণতি প্রতিফলিত হয়। এরপর সৃৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের একটি নৃত্যপরিবেশনা উপস্থাপন করা হয়। খ্যাতিমান কোরিওগ্রাফার আনিসুল ইসলাম হিরোর নির্দেশনায় পরিবেশিত এ নৃত্যশিল্প বাংলাদেশি সাংস্কৃতির বৈচিত্র্য এবং ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে তুলে ধরে। অনুষ্ঠানের শেষাংশে জনপ্রিয় ব্যান্ডদল ‘শিরোনামহীন’-এর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, সাংস্কৃতিক কর্মী, তরুণ প্রজন্ম এবং দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজকরা মনে করেন, ইতিহাসের স্মরণ ছাড়াও মৈত্রী দিবস দু’দেশের যৌথ ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং পারস্পরিক সহমর্মিতার প্রতীক। এই উদযাপন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের প্রতি নতুন করে প্রত্যয় ঘোষণা। উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশের বাস্তব স্বাধীনতার ১০ দিন আগে। এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বিজয়ের গতিকে ত্বরান্বিত করেছিল।
উপরে