প্রকাশিত : ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:৩৩

আটঘরিয়ার নিখোঁজ ২ মাসের শিশু আদমদীঘি থেকে উদ্ধার

অভিযুক্ত নারী আটক
উপজেলা সংবাদদাতা, আদমদীঘি, বগুড়াঃ
আটঘরিয়ার নিখোঁজ ২ মাসের শিশু আদমদীঘি থেকে উদ্ধার
আদমদীঘি থানা পুলিশ মটপুকুরিয়া গ্রাম থেকে আটঘড়িয়ার নিখোঁজ আদিল হাসানাকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত নারীকে আটক করে। - চাঁদনী বাজার

পাবনার আটঘরিয়া থেকে মাত্র ২ মাসের শিশুপুত্র নিঁেখাজ আদিল হাসানকে ১৬ ঘন্টা পর আদমদীঘিতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউপির মটপুকুরিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার ও রুনা আক্তার ওরফে রাবেয়া (৫২) কে আটক করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বাদি না হওয়ায় অভিযুক্ত রুনা আক্তার রাবেয়াকে মুছলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

জানা যায়, পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দক্ষিণ হারুলপাড়া গ্রামের মামুন হাসানের মাত্র ২ মাসের ছেলে আদিল হাসানকে গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় মামুন হাসানের স্ত্রী তার ফুপু একই গ্রামের মোতালেব আকন্দের মেয়ে প্রবাসি ফেরত রুনা আক্তার রাবেয়ার কোলে দিয়ে সাংসারিক কাজ করছিল। শিশু পুত্রটিকে কোলে নিয়ে বেড়ানোর সুজুকে গোপনে শিশুটিকে নিয়ে আদমদীঘি উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রামে তার ২য় স্বামী আইয়ুব আলীর বাড়িতে আসেন। এদিকে সন্তানকে না পেয়ে তার বাবা মা হন্ন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। শিশু আদিল হাসানকে কোলে নেয়া ফুপু রুনা আক্তার ওরফে রাবেয়াকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তার কোন সন্ধ্যান পাননি। ফলে শিশু আদিল হাসানের বাবা মামুন হাসান আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন। মোবাইল ফোনের সুত্রধরে পর দিন গতকাল রোববার সকাল ৬টায় ওই শিশুর বাবা মা আদমদীঘি উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রামে অসেন। সেখানে নিজের সন্তান শনাক্ত করলে গ্রামবাসির সহযোগিতায় রুনা আক্তার রাবেয়াকে আটক করে বেঁধে রাখেন। এরপর জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। আদমদীঘি থানা পুলিশ সকাল ১০টায় ঘটনাস্থল মটপুকুরিয়া গ্রামে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত রুনা আক্তার রাবেয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে ২ মাস বয়সের ওই শিশুকে তার পিতামাতার নিকট হস্তান্তর করে। রুনা আক্তার রাবেয়া গ্রামবাসির নিকট প্রথমে তার সন্তান বলে দাবী করলেও পরে শিশুটি তার সন্তান নয় এবং নি:সন্তান বলে লালন পালন করার জন্য শিশুটিকে গোপনে নিয়ে আসে। তবে এ ঘটনায় মামলা না করায় রুনা আক্তার ওরফে রাবেয়াকে মুছলেকানামা লিখে নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। 
আদমদীঘি থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, যেহেতু আটঘরিয়া থানা এলাকার ঘটনা সেখানে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন। এখানে শিশুটির অভিভাবক মামলা না করায় রুনা আক্তার রাবেয়ার নিকট মুছলেকানামা লিখে জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

 

উপরে