প্রকাশিত : ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:১৬

বিজয় দিবসে ‘গণকুচকাওয়াজ’: ইতিহাস বিকৃতি ও সাম্প্রদায়িক উগ্রতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক ঐক্যের লড়াই

চাঁদনী ডিজিটাল ডেস্ক রিপোর্টঃ
বিজয় দিবসে ‘গণকুচকাওয়াজ’: ইতিহাস বিকৃতি ও সাম্প্রদায়িক উগ্রতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক ঐক্যের লড়াই

বিজয় দিবস উপলক্ষে ইতিহাস বিকৃতি, সাম্প্রদায়িক উগ্রতা, সাংস্কৃতিক দমন এবং স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্য আয়োজন করেছে ‘গণকুচকাওয়াজ’।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শিখা চিরন্তন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই গণকুচকাওয়াজে অংশ নেন সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, শিক্ষক, লেখক ও শিক্ষার্থীরা। শিখা চিরন্তনে পৌঁছানোর পর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারা সালাম গ্রহণ করেন। এসময় জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আয়োজকরা উল্লেখ করেন, দেশ আজ বহুমাত্রিক সংকটে নিমজ্জিত। অর্থনীতি দিশাহীন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক বাস্তবতায় দমন, ভয় ও নিয়ন্ত্রণের অন্ধকার নেমে এসেছে। তারা অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটলেও দমনমূলক ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা এখনো বিদ্যমান।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন রূপে নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, যা স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য গভীর হুমকি। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো সাম্প্রদায়িক উগ্রগোষ্ঠী ‘তৌহিদী জনতা’ এবং চিহ্নিত স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সামনে রাষ্ট্রের প্রকাশ্য নতি স্বীকার।

আয়োজকরা অভিযোগ করেন, সরকার উগ্র শক্তির নির্দেশিত পথে দেশ পরিচালনা করছে। মুক্তিযুদ্ধের অর্জন তারা সহ্য করতে পারে না। রাষ্ট্র কেন স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে উল্টো পথে হাঁটছে, তা আজ জাতির সামনে গভীর প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক জামসেদ আনোয়ার তপন। বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, কমরেড খালেকুজ্জামান, আব্দুস ছাত্তার, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, এস এম এ সবুর, চাকসুর সাবেক ভিপি সামছুজ্জামান হীরা এবং কবি মোহন রায়হান

উপরে