নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা, দেশে ফিরতে চান তামিম-মুশফিকরা
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠের খুব কাছের একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ওই মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন সফররত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কয়েকজন খেলোয়াড়। তবে তারা মসজিদে প্রবেশের আগেই এই হামলার ঘটনা ঘটায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন টাইগারা।
আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে ওই মসজিদে জুমার নামাজের পরপরই বন্দুরকধারীরা এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে।
এই ঘটনার পর বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড শেষ টেস্ট। শুক্রবার এক টুইটে ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, দুই বোর্ডের যৌথ আলোচনায় নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত। শনিবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফরের শেষ ম্যাচটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ওয়েবসাইট থেকে জানানো হয়েছে, ‘শহরের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা যারা নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ছিলেন তারা সবাই নিরাপদে হোটেলে পৌঁছেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে দলের সদস্য ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।’
জানা যায়, তৃতীয় ও শেষ টেস্টকে সামনে রেখে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভাল মাঠে লিটন দাস ও নাঈম হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের সবাই অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলন শেষে জুমার নামাজ পড়তে প্রধান সড়কে টিম বাস রেখে হ্যাগলি পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে আল নুর মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় নামাজ শুরু হওয়ার ঠিক ১০ মিনিট পর একজন বন্দুকধারী সিজদায় থাকা মুসল্লিদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এমন সময় মসজিদের কাছাকাছি যেতেই এক নারী তামিমদের সেদিকে না যেতে সতর্ক করেন। ফলে অনেকটা দৌড়ে ক্রিকেটাররা ফিরে আসেন টিম বাসে।
এই ঘটনার পর আতঙ্কিত বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেটাররা চাইছেন যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে। জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম নিশ্চিত করেছেন, টিম হোটেলে নিরাপদেই আছেন তামিম-মুশফিকরা। তবে তারা কেউই বেশিক্ষণ নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করতে চাচ্ছেন না।
তিনি নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে বলেন, আমার মনে হয় না তারা (টিম বাংলাদেশ) এখন ক্রিকেট খেলার মতো অবস্থায় নেই। তাই তারা যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চান। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমি যা শুনছি তা থেকেই বলছি।