বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের দু'হাত বাড়িয়ে বরণ করা হবে : কিউই ক্রীড়ামন্ত্রী
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ জনের মৃত্যুর পর বিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি ফেরাতে অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সরকার এবং সাধারণ জনগন। তারা মুসলিমদের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের সাহস দিচ্ছে। সাধারণ কিউইরাই নিরাপত্তা দিয়ে মুসলিমদের নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। বুকে বুক মেলাচ্ছে। সারা বিশ্ব তাদের এমন সহমর্মিতা এবং সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখে হতবাক হয়ে গেছে। প্রতিদিনই দারুণ সব কর্মসূচি দিয়ে মুসলিমদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কিউইবাসীরা। এর মাঝে অবশ্য অন্য এক চিন্তায় বিব্রত দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী গ্র্যান্ট রবার্টসন।
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাতিল হয়ে গেলে সিরিজের শেষ টেস্ট। কোনোমতে দেশে ফিরে যেন হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই বিষয়টি নিয়ে ভীষণ বিব্রত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এবং সরকার। বোর্ডের পক্ষ থেকে বিসিবির কাছে বারংবার অনুরোধ করা হয়েছে। এবার নিউজিল্যান্ডের ক্রীড়ামন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। তার আশা, এই দুর্ঘটনার স্মৃতি ভুলে আবারও নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আর বিসিবির কাছে পাঠানো মেইলে রবার্টসন দুই দেশের বন্ধুত্বের ওপরই জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক তা কোনো ব্যক্তির হিংসা আর ঘৃণায় ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। আমি আশা করি সময় গড়ানোর সঙ্গে বাংলাদেশ দল এবং তাদের সমর্থকেরা নিউজিল্যান্ড আসতে নিরাপদ বোধ করবে। তারা এটাও মনে করবে, নিউজিল্যান্ডে তাঁদের দু হাত বাড়িয়েই বরণ করে নেওয়া হবে।'
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ড সফরের দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। চোখের সামনে লাশ, রক্ত দেখে ফেরা ক্রিকেটারদের মুখের হাসি যেন হারিয়ে গিয়েছিল। তবে নিউজিল্যান্ড ছাড়ার আগে 'মি. ডিপেন্ডেবল' খ্যাত মুশফিকুর রহিম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'নিউজিল্যান্ড এখনো বিশ্বের সেরা দেশগুলোর একটি। আমরা এখনো নিউজিল্যান্ডকে ভালোবাসি।' মুশির এই উক্তিটাই এখন স্বস্তি দিতে পারে কিউইদের