প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০১৯ ১৫:৩৬

আইপিএলে বিধ্বংসী রূপে হাজির ওয়ার্নার

অনলাইন ডেস্ক
আইপিএলে বিধ্বংসী রূপে হাজির ওয়ার্নার

কেপ টাউনের কলঙ্কিত অধ্যায় কেড়ে নিয়েছে ক্যারিয়ারের মূল্যবান একটা বছর। নির্বাসনের তকমা ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলে ডেভিড ওয়ার্নার মাঠে ফিরতে কতটা মরিয়া ছিলেন, তা বোঝা গেল ইডেন গার্ডেনে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ঝুলিয়ে দেওয়া নির্বাসনের খাড়া এখনও মাথার উপর থেকে সরে যায়নি। তবে বিসিসিআই'র নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে গত মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। নতুন মৌসুমের শুরু থেকেই ওয়ার্নার আইপিএলে মাঠে নামতে পারবেন কি না, তা নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা ছিলই। 

সেই জল্পনাটায় ইতি টেনেছিলেন সানরাইজার্স কোচ টম মুডি। কেকেআরের বিরুদ্ধে দ্বাদশ আইপিএলে অভিযান শুরুর আগে মুডি স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, ওয়ার্নারের মাঠে নামতে কোনও সমস্যা নেই এবং ও মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।

 

নির্বাসনপর্ব কাটিয়ে আইপিএলে নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন অজি ওপেনার। ক্যাপ্টেন হিসাবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যে প্রভাব রেখে গিয়েছিলেন ২০১৭ সালে, এক মৌসুমের ব্যবধান কাটিয়ে এবার ক্যাপ্টেন্সি হাতছাড়া হলেও ব্যাটসম্যান হিসাবে শুরু করলেন ঠিক সেখান থেকেই।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নেমে ওয়ার্নার দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করেন। বরং বলা ভালো যে, নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ৫৩ বলে ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলার পথে ডেভিড ৯টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন৷

জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেন ওয়ার্নার। রাসেলের বলে উথাপ্পার হাতে ধরা পড়ার আগে বিজয় শংকরের সঙ্গে জুটিতে যোগ করেন আরও ২৬ রান। ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছতে ওয়ার্নার খরচ করেন ৩১ বল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নির্বাসনের মাঝেই অস্ট্রেলিয়ার ক্লাব ক্রিকেট ছাড়াও কানাডা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশের ঘরোয়া টি-২০ লিগে মাঠে নামেণওয়ার্নার। তবে সেই অর্থে বড় মঞ্চে ফিরে আসা আইপিএলেই। প্রথম ম্যাচেই ধ্বংসাত্মক হাফসেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে ঢুকে পড়ার দাবি জোরালো করলেন ডেভিড।

উপরে