সতীর্থদের হুমকিতেই নিষিদ্ধ ওয়ার্নার!
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারের জন্য শুক্রবার (২৯ মার্চ) ছিল বিশেষ একটি দিন। কেননা, গত বছর কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিংয়ের অপরাধে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া এই খেলোয়াড়ের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে শুক্রবার। এখন আর তাদের জাতীয় দলে খেলতে বাধা নেই। তবে এবার নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
জানা গেছে, সতীর্থদের হুমকির মুখেই ওয়ার্নারকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। তাকে নিষিদ্ধ না করলে টেস্ট বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন ক্রিকেটার।
গত বছর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এতে মদত দেয়ায় স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ১ বছর করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ব্যানক্রফটকেও ৯ মাসের নির্বাসন দেয় বোর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেই টেম্পারিংয়ের মূল হোতা ছিলেন বাঁহাতি বিধ্বংসী ওপেনার ওয়ার্নার। তাকে নিষিদ্ধ না করলে ওই সিরিজে চতুর্থ টেস্টে খেলতেন না অস্ট্রেলিয়ার চার ক্রিকেটার। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজেলউড সেটি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাদের হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয় সিএ।
আরও জানা যায়, স্মিথ-ওয়ার্নারের এখন অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলতে কোনো বাধা নেই। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অজি দলে থাকাও তাদের সুনিশ্চিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেও ছিলেন তারা। তবে তারা ক্যাম্প করার সময় সেখানে ছিলেন না টিম পেইন, মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। ফলে শেষ পর্যন্ত শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।