জোড়া সেঞ্চুরিতেও পাকিস্তানের হার
জোড়া সেঞ্চুরিতেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হার এড়াতে পারেনি পাকিস্তান। হারের বৃত্তে থাকা দলটি শুক্রবার রাতে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে আবিদ আলী ও মোহাম্মদ রেজওয়ানের জোড়া সেঞ্চুরির পরও ৬ রানে হেরে গেছে।
চতুর্থ ওয়ানডেতে ৬ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০এ এগিয়ে গেছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪২ বলে ৩৯ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে দলকে ভালো শুরু এনে দেন ফিঞ্চ। তবে তার বিদায়ের পর শন মার্শ, পিটার হ্যান্ডসকম ও মার্কাস স্টয়নিস দ্রুত ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। দারুণ ছন্দে থাকা উসমান খাওয়াজা তুলে নেন আরেকটি ফিফটি। ৭৮ বলে ৬ চারে ৬২ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনারকে এলবিডব্লিউ করে বিদায় করেন ইয়াসির শাহ।
১৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা অস্ট্রেলিয়াকে পথ দেখান ম্যাক্সওয়েল। দারুণ সঙ্গ পান কিপার-ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স কেয়ারির কাছ থেকে। দ্রুত জমে যায় তাদের জুটি।
বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া ম্যাক্সওয়েল ভাবেননি নিজের সেঞ্চুরির কথা। ঝুঁকিপূর্ণ দুই রান নেওয়ার চেষ্টায় তার রান আউটে ভাঙে ১৩৪ রানের চমৎকার জুটি। তিন ছক্কা ও নয় চারে ৮২ বলে ৯৮ রান করে ফিরেন ম্যাক্সওয়েল। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পাওয়া কেয়ারি বিদায় নেন তিন চারে ৫৫ রান করে।
২৭৭ রান তাড়ায় আবিদ আলি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরির পরও ২৭১ রানে থামে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে এ নিয়ে কেবল চতুর্থবারের মতো কোনো দল জোড়া সেঞ্চুরির পরও রান তাড়ায় হারল।
যদিও রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। শূন্য রানে ফিরেন ওপেনার শান মাসুদ। থিতু হয়ে বিদায় নেন হারিস সোহেল। চাপে পড়ে যাওয়া দলটিকে টানেন অভিষিক্ত আবিদ ও রিজওয়ান।
শুরুতে একটু সময় নেওয়া আবিদ রানের গতি বাড়ান পরে। অভিষেকে পাকিস্তানের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা এই ওপেনার রিজওয়ানের সঙ্গে গড়েন ১৪৪ রানের জুটি।
১১৯ বলে ৯ চারে ১১২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলা আবিদকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙেন অ্যাডাম জ্যাম্পা। পরের কোনো ব্যাটসম্যান পারেননি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে। ৭ উইকেট হাতে নিয়েও শেষ ৭ ওভারে ৪৯ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেনি দলটি।
কিপার-ব্যাটসম্যান রিজওয়ান ছিলেন বলে আশা টিকে ছিল পাকিস্তানের। শেষ ৩ ওভারে দলটির প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। কিন্তু ৪৮ ও ৪৯তম ওভার থেকে তারা নিতে পারে মোটে ৮ রান। এই সময়ে ফিরে যান সাদ আলি ও দলকে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া ইমাদ ওয়াসিম।
সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া রিজওয়ান ১০২ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ১০৪ রান করে শেষ ওভারে ফিরে গেলে আর পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। শেষের দারুণ বোলিংয়ে নাটকীয় জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার ন্যাথান কোল্টার-নাইল ৩ উইকেট নেন ৫৩ রানে। মার্কাস স্টয়নিস ২০ রানে নেন ২ উইকেট।
মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া ম্যাক্সওয়েল তার আগ্রাসী ইনিংসের জন্য জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
রবিবার দুবাইতেই হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নামবে পাকিস্তান।