'সিনিয়র জামাই কে?'
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ফিরেই কয়দিন আগে বিয়ে করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরদিন বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ তথা বন্ধু 'কাটার মাস্টার' খ্যাত মুস্তাফিজুর রহমান। গতকাল শনিবার দুজনেই ছিলেন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। তবে মিরাজের সঙ্গী এদিন তার জীবনসঙ্গী রাবেয়া আখতার প্রীতি। এতজন সাংবাদিক আর ক্যামেরা দেখে প্রীতি তো বেশ লজ্জাই পাচ্ছিলেন; মিরাজও মুখে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন লাজুক হাসি।
এই শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামই মেহেদী মিরাজের কর্মস্থল। তার জীবিকা যেহেতু শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে ঘিরে। এখানেই তিনি নিয়মিত অনুশীলন এমনকী ম্যাচ খেলে থাকেন। স্বামীর অফিসে তাই প্রথমবারের মতো এলেন প্রীতি। মিরাজ এমনিতেই হাসিখুশি ছেলে, তবে এদিন যেন তার মুখ থেকে হাসি সরছিল না। এরপর একাডেমি মাঠে গিয়ে সতীর্থ এবং কোচদের সঙ্গে স্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন। তারপর প্রীতিকে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম আর বিসিবি একাডেমি ভবন ঘুরিয়ে দেখান।
সাংবাদিকেরা চাইছিলেন মিসেস মিরাজের সঙ্গে একটু কথা বলতে। তবে এ যাত্রায় সেটা হয়নি। একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সামনে একত্রে দেখা যায় তিন তরুণ- তাসকিন আহমেদ, মেহেদী মিরাজ আর মুস্তাফিজুর রহমানকে। এমনিতেই মুখচোরা মুস্তাফিজ কিন্তু বেশ রসিক। মিরাজকে পেয়েই খোঁচাতে শুরু করে দেন। এক রসিক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'আপনাদের মধ্যে সিনিয়র জামাই কে? সবার আগে তাসকিন বলেন, 'আমিই সিনিয়র...। আরে আমি তো পোলার বাবা হয়ে গেছি।'
নিউজিল্যান্ড সফর শেষে ১৬ মার্চ জাতীয় দলের সঙ্গে দেশে ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দেশে ফিরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জাতীয় দলের এই তরুণ অলরাউন্ডার। দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় (২১ মার্চ) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তিনি। এদিন খুলনা শহরের খালিশপুরে কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ সময় দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বকাপের পর সবাইকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করা হবে।