হারিয়ে গেছেন আশরাফুল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্ট আসরের সর্বশেষ ৬ষ্ট সংস্করণে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রথমে কোনো দল তাকে না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত চিটাগং ভাইংকিংস কিনেছিল এক সময়ের 'লিটল মাস্টার'কে। কিন্তু নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি অ্যাশ। যে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন, নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে করেছেন যথাক্রমে ৩, ২২ এবং ০!
বিপিএলের পর চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ৫০ ওভারের ফরম্যাটে নিজেকে প্রমাণের দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিলেন আশরাফুল। তাছাড়া ডিপিএল তার জন্য পয়মন্ত। গত আসরে কলাবাগনের হয়ে টানা তিনটি সহ মোট পাঁচ সেঞ্চুরি করেছিলেন। তবে তার দলের এতে খুব একটা লাভ হয়নি। এবার তাকে অনেক কম সম্মানীতেই দলে নিয়েছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি অ্যাশ।
মোহামেডানের হয়ে ১০ ম্যাচের সাতটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছেন আশরাফুল। গত ৬ ম্যাচে তার সংগ্রহ যথাক্রমে ০, ১০, ৪৪, ৪*, ২৮ এবং ৬। আজ সোমবার প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে দশম রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নেমেছে মোহামেডান। ব্যর্থতার পরেও এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন অ্যাশ। কিন্তু ১৪ বল খেলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। অর্থাৎ, ৭ ম্যাচে আশরাফুল করতে পেরেছেন মাত্র ৯৬ রান।
পরিসংখ্যান আরও দেওয়া যেতে পারে। চলতি বছর সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৪৪ রানের। সব মিলিয়ে চলতি বছরে ১১টি ইনিংসে ব্যাট করে 'ডাক' মেরেছেন ৩ বার। বিপিএলে, ডিপিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এবং ৫০ ওভারের ডিপিএল- সবগুলোতেই একবার করে ডাক মেরেছেন আশরাফুল। ৩৫ বছর বয়সেও তিনি জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু এই পারফরমেন্স তাকে ঘরোয়া লিগের একাদশেও নিয়মিত সুযোগ করে দেয় না। অ্যাশ কি তবে ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেললেন?