মাশরাফি কেঁদেছিলেন, এবার কাঁদলেন তাসকিন
সংগ্রাম, লড়াই, মনোবল কাকে বলে কত প্রকার ও কী কী- তার বাস্তব প্রমাণ মাশরাফি বিন মুর্তজা। বারবার চোটে পড়ে, পায়ে ৭টি অপারেশনের পরও যিনি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা পেসার। অথচ এই মাশরাফিই ঘরের মাঠে ২০১১ বিশ্বকাপ খেলতে না পেরে হাউমাউ করে কেঁদেছিলেন। তার সেই কান্না ছুঁয়ে গিয়েছিল সারা দেশকে। ৮ বছর পর সেই দুঃখজনক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটল। তবে নায়ক এবার মাশরাফি নন; তার প্রিয় শিষ্য তাসকিন আহমেদ।
বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে আছেন মাশরাফি বিন মোর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার, তামিম ইকবাল, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন এবং আবু জায়েদ চৌধুরী।
মিরপুর শের-এ-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন৷ তাঁর মতে, এটাই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী দল। নিউজিল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়েছেন পেসার শফিউল ইসলাম ও অফ স্পিনার নাঈম হাসান।
গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। সেবার কোনো ম্যাচে খেলার সুযোগ না পাওয়া এই পেসার ডাক পেয়েছেন বিশ্বকাপ দলে। বিপিএলে খেলার সময় চোট পাওয়ায় নিউজিল্যান্ড সফরের দল থেকে বাদ পড়েন তাসকিন আহমেদ। চোটের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে মাঠে ফিরলেও তাঁর ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট নন নির্বাচকরা। তাই তাঁর জায়গায় স্থান হয়েছে আবু জায়েদের।
২০১১ বিশ্বকাপের তিন মাস আগে প্রিমিয়ার লিগ খেলতে গিয়ে হাঁটুতে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। ৮০ ভাগ ফিট আর দুর্দান্ত ফর্ম থাকার পরেও তাকে বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়নি। আর তাসকিন চোট কাটিয়ে গত বিপিএল ফিরে আবার চোটে আক্রান্ত হন। চোটের আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
বিশ্বকাপের আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন তাসকিন। অনেকেই বলে আসছেন, মাশরাফি, মোস্তাফিজ, রুবেলের সঙ্গে চতুর্থ পেসার হিসেবে জায়গা মিলবে তাসকিনের। কিন্তু ইনজুরি তাকে সেই যে বাইরে ঠেলে দিলো, তা থেকে সঠিকভাবে ফেরাই হলো না তার।