ইংলিশ অধিনায়ককে ফেরালেন তাসকিন
চাপে ইংল্যান্ড। একের পর এক উইকেট নিয়ে ইংলিশদের ওপর চাপ বাড়াচ্ছেন বাংলাদেশি বোলাররা। এবার উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিলেন তাসকিন আহমেদ। তুলে নিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইংলিশ অধিনায়কের উইকেটটি।
তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ব্যাট চালিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন জস বাটলার (৯)। প্রথম স্লিপে দারুণ এক ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৬৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ১৭তম ওভারের খেলা চলছে।
বোর্ডে বড় পুঁজি নেই। মিরপুরে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছে মাত্র ২০৯ রানে। এই পুঁজি নিয়ে ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে জিততে হলে বোলারদের অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে।
শুরুটা কিন্তু দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই সাকিব আল হাসানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আর বল হাতে নিয়েই ইংলিশ শিবিরে কাঁপন ধরিয়েছেন সাকিব।
ওভারের প্রথম বলটিতেই পেতে পারতেন উইকেট। সাকিবকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছিলেন জেসন রয়। তবে সেই ক্যাচটি সাকিব ধরে রাখতে পারেননি।
শেষ বলে আরও একবার ভুল করে বসেন রয়। এবার সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ তুলে দেন ইংলিশ ওপেনার। তামিম ইকবাল ধরেন সেই ক্যাচ। এসে সাকিবের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মাতেন উদযাপনে। রয় আউট হন ৪ রানে। ৪ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
সাকিব প্রথম ওভারে আঘাত হানার পর অনেকটা সময় উইকেট টিকিয়ে রেখেছিল ইংল্যান্ড। অবশেষে নবম ওভারে এসে বাংলাদেশ শিবিরে হাসি ফেরান তাইজুল ইসলাম।
তাইজুলের ঘূর্ণি ডেলিভারি মিস করে লেগস্টাম্প হারান ফিল সল্ট। বোল্ড হওয়া ইংলিশ ওপেনার ১৯ বলে করেন ১২ রান। তাইজুল অল্প সময়ের ব্যবধানে তুলে নেন তার দ্বিতীয় উইকেট। বাঁহাতি স্পিনারের ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে এবার স্টাম্পিং হন জেমস ভিন্স (৬)। ১৩তম ওভারে ৪৫ রানে ইংল্যান্ড হারায় ৩ উইকেট।
এর আগে ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৪৭.২ ওভারে ২০৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৫৮ রান, মাহমুদউল্লাহ ৩১ আর তামিম ইকবাল ২৩ রান। বাকিরা কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
লিটন দাস ৭, মুশফিকুর রহিম ১৬, সাকিব ৮, আফিফ হোসেন ধ্রুব ৯ আর মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হন মাত্র ৭ রান করে। শেষদিকে তাসকিন আহমেদের ১৪ আর তাইজুল ইসলামের ১০ রানে কোনোমতে দুইশ পার হয় টাইগাররা।
ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন জোফরা আর্চার, মার্ক উড, মঈন আলি আর আদিল রশিদ।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন